সৌদিগামী প্রবাসীরা টিকিট হাতে বিমানবন্দরে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছেন। টিকিটের টাকা গচ্চা যাওয়ার পাশাপাশি চাকরি হারানোর শঙ্কা তাদের। এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই জানিয়ে সৌদি এয়ারলাইন্স বলছে, বিষয়টা দু’দেশের সরকারের।
করোনায় বিধিনিষেধে রাস্তাঘাটের ধকল সয়েই আসেন বিমানবন্দরে। কিন্তু বিমান বন্দরে পৌঁছেই তাদের মাথায় হাত। সৌদি সরকারের নতুন নিয়মে বিমানভাড়ার বাইরেও সাতদিনের কোয়ারেন্টাইনে গুনতে হবে ৭০ হাজার টাকা। থাকতে হবে সৌদি সরকার নির্ধারিত হলিডে হোটেলে। এসব শর্ত মেনে বিমানে না চড়লেও বাতিল হবে টিকিট, ফেরত পাবেন না টাকা। এমন সব শর্তে দিশেহারা প্রবাসীরা।
ভুক্তভোগী কয়েকজন প্রবাসী জানান, আমাদেরকে ম্যাসেজ দিলে আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিতাম। কিন্তু এ সময়ে আমাদের পক্ষে এতগুলো টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।
সরকারি নির্দেশনার বাইরে কিছুই করার নেই জানিয়ে, উল্টো প্রবাসীদের উপরই দায় চাপালেন সৌদি এয়ারলাইন্স কর্মকর্তা।
সৌদি এয়ারলাইন্সের কাস্টমার রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. নাসিম আখতার বলেন, প্রবাসীরা বুকিং দেওয়ার সময়ে সেদেশের ফোন নম্বর দেয়। এজন্য সমস্যাটা হয়েছে। নিম্ন শ্রেণির যারা টিকিট কেটেছিলনে তারা আজকে যেতে না পারলে টিকিট ক্যান্সেল।
হোটেল কোয়ারেন্টিনসহ বিভিন্ন শর্ত আরোপ করায় প্রাথমিকভাবে ২৪ মে পর্যন্ত সৌদি আরবে ফ্লাইট বন্ধ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বায়রা সাবেক যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সৌদি আরবের হোটেল খুবই ব্যায়বহুল। এখানে সাতদিন থাকা-খাওয়ায় একজন কর্মীকে অনেক খরচ করতে হবে। শুধু যাত্রীরা নয়, হঠাৎ এ ধরনের বিধিনিষেধে বড় ধরনের হুমকিতে পড়তে পারে জনশক্তি রপ্তানি।