বিগত বছরের মতো এবারও রেমিট্যান্সের বিপরীতে ২ শতাংশ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে একথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, সামগ্রিক এবং বৈধ পন্থায় প্রবাস আয় প্রেরণকে উৎসাহিত করতে আগামী অর্থবছরেও এ খাতে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।
বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থানের ওপর চাপ কমাতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নির্বাচনি ইশতেহার ২০১৮ অনুযায়ী প্রতি উপজেলা হতে গড়ে ১ হাজার কর্মীকে বিদেশে প্রেরণসহ প্রতি বছর মোট ৭ লক্ষ হিসেবে তিন বছরে ২১ লাখ কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিকরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জনবল সৃষ্টি, আরও ২২টি জেলায় জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস স্থাপন, প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে বিদেশে আরও নতুন ৭টি শ্রম কল্যাণ উইং স্থাপন, এবং ৮টি বিভাগীয় শহরে বিভাগীয় কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের নিজস্ব ভবন স্থাপনসহ মাঠ পর্যায়ে বিশ্ব মানের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
প্রবাসী আয়ে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে ২২ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ৪০ দশমিক ১ শতাংশ। মূলত, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রবাস আয়ের ওপর ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখা এবং অর্থ প্রেরণ প্রক্রিয়া সহজীকরণ করার ফলে প্রবাস আয়ের ক্ষেত্রে এ ঈর্ষণীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভবপর হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি কালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দাজনিত কারণে রফতানি বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমরা যখন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন প্রবাস আয়ের এ অভাবনীয় সাফল্য আমাদেরকে স্বস্তির মধ্যে রেখেছে। পাশাপাশি, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাস আয় প্রবাহ বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহ কর্তৃক বিশেষ ‘প্যাকেজ কর্মসূচি’ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।