ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে পুলিশ বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘পুলিশ ধর্ষকদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে এই অভিযোগ করেন তিনি। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে নুর বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর (জাতীয় নির্বাচন) এই বাংলাদেশকে গণধর্ষণ করেছে। এই গণধর্ষণের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতি, গণধর্ষণের মাধ্যমে এই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কবর দিয়েছে তারা। আজ ময়মনসিংহে আমার সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের পুলিশ বাধা দিয়েছে। আজ পুলিশ ধর্ষকদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে, তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে একটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ধর্ষণ বিরোধী গ্রাফিতি আঁকতে গিয়ে পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।’
নুরুল হক নুর বলেন, ‘ছাত্রদল ভিন্ন রাজনীতি করে। তাদের রাজনীতি আমাদের রাজনীতি ভিন্ন। ধর্ষণের ঘটনায় সিলেট ও নোয়াখালীতে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিচারক তাদের জেলে পাঠিয়েছে। আমরা ধিক্কার জানাই সেইসব বিবেকহীন বিচারকদের প্রতি।’
তিনি আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনারা যদি ধর্ষণ এবং দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নেন তবে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুখ হোসেন, ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন, বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। সমাবেশ শেষে তারা একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা প্রদক্ষিণ করে৷