তিন পার্বত্য জেলাসহ সারাদেশে নারী নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন হয়েছে। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সম্মিলিত ছাত্র ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিল মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, সিএইচটি ওম্যান অ্যাকটিভিস্টের সমন্বয়ক সুস্মিতা চাকমা, মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের জেলা সভাপতি, তঞ্চঙ্গ্যা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের জেলার সাধারণ সম্পাদক জগদীশ তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সীমা ত্রিপুরা, কলেজ শিক্ষার্থী সুমনা চাকমা।
ওম্যান অ্যাকটিভিস্টের সমন্বয়ক সুস্মিতা চাকমা বলেন, গত এক মাসে মধ্যে বান্দরবনে লামায় এক ত্রিপুরা নারীকে, খাগড়াছড়ির মহলছড়িতে এক মারমা স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। একই জেলার দিঘীনালা উপজেলায় এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সর্বশেষ বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে খাগড়াছড়িতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ে এমন ঘটনা শুধু এগুলো নয়, অতীতেও হাজার হাজার ঘটনা ঘটেছে। সুষ্ঠু বিচার না হওয়ার কারণে এধরনের ঘটনা বেড়েই চলছে।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান বলেন, সারাদেশসহ তিন পার্বত্য জেলায় প্রতিনিয়ত নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। একটি স্বাধীন দেশে নারীরা নিরাপদে ঘোরাফেরা করতে পারে না, এটা মেনে নেওয়া যায় না। ধর্ষণের বিচার না হওয়াতে একের পর এক এমন জঘন্য ঘটনা ঘটছে। গত এক মাসে পাহাড়ে চারটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও একটিও বিচার হয়নি।
বক্তারা আরও বলনে, গত বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি এবং শুক্রবার সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি বাড়িতে রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে মা-বাবাকে বেঁধে রেখে তাদের প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ এবং লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা।