শর্ত কিছুটা শিথিল করার পর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকায় একটি ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ। কোরবানি ঈদ’কে সামনে রেখে ১৬ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে ফ্লাইটটি ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য তারিখ।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যাপ্ত যাত্রী হলে একাধিক ফ্লাইট চালুরও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ইউএস বাংলা মালয়েশিয়ার অপারেশন ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম জানান, যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে একটি ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে কোয়ারেন্টাইনের খরচ বহন করে দেশে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত যাত্রী হবে কিনা সবকিছু নির্ভর করছে তার উপর। দেশে যেতে আগ্রহীদের জন্য গুগল ফর্মের মাধ্যমে একটি তালিকা তৈরি হচ্ছে। এ তালিকার মাধ্যমে পর্যাপ্ত যাত্রী পেলে নির্ধারিত সময়েই ফ্লাইটটি ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই এর ফ্লাইটে যেতে আগ্রহীদের বিমান ভাড়া শুরু ১৩৪৪ রিঙ্গিত থেকে। এছাড়া ইউএস বাংলার প্যাকেজ অনুযায়ী ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন বাবদ থাকা-খাওয়াসহ গুনতে হবে জনপ্রতি ১৭৯৮ রিঙ্গিত। তবে দুই বা তিন জনের হোটেল রুমে থাকলে কমে আসবে খরচ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতি খরচ আসবে ১২৪০ রিঙ্গিত।
অবশ্য ১ বা ২ ডোজের (ক্ষেত্র বিশেষ প্রযোজ্য) করোনার টিকা নিয়েছেন যারা তাদের গুনতে হবে না এই অতিরিক্ত অর্থ। নিজ নিজ বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে সেসব প্রবাসীদের। আর টিকা নেননি এমন প্রবাসীদের জন্য সরকার নির্ধারিত হোটেল কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এদিকে লকডাউনে কাজ হারিয়ে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা সাধারণ প্রবাসীরা কোয়ারেন্টাইনের অতিরিক্ত অর্থ মওকুফে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় আছেন এমন প্রবাসীরাও বলছেন, টানা লকডাউনে এমনিতেই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন প্রবাসীরা। এ অবস্থায় কোয়ারেন্টাইনের অতিরিক্ত অর্থ মওকুফ না করলে তারা দেশে ফিরতে পারবে না।