এ মাসেই বিশ্বের সব দেশের পর্যটকের জন্য খুলে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দরজা। তবে এক্ষেত্রে শর্ত একটাই। তা হলো, যারা করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন, শুধু তাদেরকে ট্যুরিস্ট ভিসা দেয়া হবে। তবে বাংলাদেশের বিমানবন্দরে রেপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন না করায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য স্বাভাবিকভাবেই তা প্রযোজ্য নয়।
দেশটির সংবাদ সংস্থার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিকা নেয়া পর্যটকদের ভিসা দেয়া শুরু হবে ৩০শে আগস্ট, সোমবার থেকে। এর ফলে আগে যেসব দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আমিরাত, সেসব দেশের মানুষও সেখানে যেতে পারবেন। যাদেরকে ভিসা দেয়া হবে, তারা আমিরাতে পৌঁছার পর করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করাতে হবে। উপরন্তু পুরো ডোজ টিকা নেয়া পর্যটকরা তাদের টিকার সনদ নিবন্ধিত করতে পারবেন আইসিএ প্লাটফর্মে অথবা আল হোসন অ্যাপের (AL Hosn App) মাধ্যমে।
এর ফলে টিকা নেয়া ব্যক্তিরা একটু বেশিই সুবিধা পাবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সেক্টর এবং জনস্বাস্থ্যের মধ্যে একটি ভারসাম্য সৃষ্টির জন্য এমন কৌশল নিয়েছে আমিরাত। এ ছাড়া অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণের জন্য এবং অর্থনৈতিক খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এ উদ্যোগ সহায়ক হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সাধারণত ৩০ দিন বা ৯০ দিনের জন্য পর্যটক ভিসা দিয়ে থাকে। এ ছাড়া যেসব মানুষ আমিরাতে পৌঁছামাত্র ভিসা পাওয়ার যোগ্য নন, তাদের ক্ষেত্রে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। এ ছাড়া ২১ শে মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত সব দেশের নাগরিকদের জন্য ৫ বছরের জন্য মাল্টিপল পর্যটক ভিসা অনুমোদন করেছে। এ মাসের শুরুতে ভারত, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও অন্য কিছু দেশ থেকে ট্রানজিট যাত্রীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে তারা। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের এক প্রাণকেন্দ্র হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেক দেশের বিরুদ্ধে কয়েক মাস ধরে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিল।
এদিকে নিজ কর্মস্থলে ফিরতে দ্রুত দেশের বিমানবন্দরে রেপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন দেশে আটকা পড়া আমিরাত প্রবাসীরা।