জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎ হয়নি। যদিও এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করায় জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছিল।
এদিকে বুধবার (১৬ নভেম্বর) ফেসবুক পোস্টে শাহরিয়ার আলম লেখেন, আমরা বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের অ্যাম্বাসেডরকে ডেকেছিলাম। তাকে যা যা বলা দরকার আমরা বলেছি। সবকিছু বিস্তারিত গণমাধ্যমে বলার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না, তাই এ বিষয়ে কোনো গণমাধ্যমে আমরা আর বক্তব্য দিতে চাই না। বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও গভীর হবে আসন্ন প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের মধ্যে দিয়ে এই প্রত্যাশায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সাংবাদিকরা জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির কাছে জানতে চান। তখন তিনি বলেন, প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এরমধ্যে আমার সাক্ষাৎ হয়নি।
এদিন রাষ্ট্রদূত পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, আইএমএফ বাজেট সহায়তা ছাড় শুরু করবে আগামী বছর। তবে আমরা এখনও বাজেট সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি একটা ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের ভালো বন্ধু। প্রায় তিন বছর ধরে নাওকি এখানে কাজ করেছেন। তিনি আমার ব্যক্তিগত বন্ধুও ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের কারণে তিনি এখন জাপানে যাচ্ছেন। এরপর আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে একবারেই চলে যাবেন।
বাজেট সহায়তার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা চেয়েছি। তারা বিবেচনা করছে। আশা করছি এই সহায়তা আমরা পাবো।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে তিন বছর আমার দারুণ সময় কেটেছে। অনেক মেগা প্রকল্পের সঙ্গে আমরা ছিলাম। এরমধ্যে মেট্রোরেল লাইন-৬ উদ্বোধন হবে ডিসেম্বরে। এটি একটি মাইলফলক প্রকল্প। এ ছাড়া মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, বিমানবন্দর সম্প্রসারণসহ আরও বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ৫০ বছর পার করছে। জাপানের সঙ্গেও সম্পর্কেও ৫০ বছর চলছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর এ সফর সম্পর্ক আরও উন্নয়নে কাজ করছে। বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে।