পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননা প্রশ্নে রিয়াদ ও দোহায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে সৌদি আরব ও কাতার। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) স্টকহোমে ইরাকি দূতাবাসের বাইরে সুইডেনের পতাকা নাড়ছেন সালওয়ান মোমিকা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) স্টকহোমে ইরাকি দূতাবাসের বাইরে সুইডেনের পতাকা নাড়ছেন সালওয়ান মোমিকা।
শুক্রবার (২১ জুলাই) এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দোহায় নিযুক্ত সুইডিশ দূতাবাসকে তলব করা হয়েছে। পবিত্র কোরআন অবমাননার জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষকে ‘এই লজ্জাজনক কাজগুলো বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেয়ার’ দাবি জানাবে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সুইডিশ দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সকে তলব করা হয়েছে। এই অসম্মানজনক কাজগুলো বন্ধ করতে সুইডিশ কর্তৃপক্ষের কাছে বার্তা দেবে সৌদি আরব। তাদের বলা হবে, যে সব কাজ ধর্মীয় অনুভূতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন এবং নিয়মকে লঙ্ঘন করে সেসব ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
রিয়াদ বলেছে, কিছু চরমপন্থিকে পবিত্র কোরআনের অনুলিপি পোড়ানো ও অপবিত্র করার অনুমতি দিয়ে সুইডিশ সরকার বারবার দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় নিচ্ছে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এটি এমন একটি কাজ যা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে তীব্রভাবে আঘাত হেনেছে। এটা পুরোপুরি উসকানি।
সম্প্রতি সুইডেনে একটি মসজিদের সামনে পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে একদল আন্দোলনকারী। পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষেই এমন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড ঘটেছিল। সুইডেন প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ওই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে মুসলিম বিশ্ব।
এরপরও সুইডেনে নতুন করে আবার কোরআন পোড়োনোর অনুমতি দিয়েছে দেশটির পুলিশ। সুইডিশ নিউজ এজেন্সি টিটি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টকহোমে ইরাক দূতাবাসের বাইরে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) এক গণজমায়েতের আবেদনে অনুমোদন দিয়েছে সুইডেন পুলিশ।
এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভোরে বাগদাদের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত সুইডেনের দূতাবাসে দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে সেখানে আগুনও ধরিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, দূতাবাসে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ইরাক। এছাড়া সুইডেনে নিযুক্ত ইরাকি রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি।