শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি পদ্মা ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রোববার দিবাগত মধ্যরাতে ভবনটির অর্ধেক নদীগর্ভে চলে যায়। বাকি অর্ধেক ভাঙনের মুখে রয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটির পাশের একটি কমিউনিটি ক্লিনিকও নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে। এর আগে ওই এলাকার একটি তিনতলা বিশিষ্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ভাঙনের মুখে রয়েছে ইউনিয়নটির কাজীরসুরা বাজার। এছাড়াও ইতিপূর্বে চলতি বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার শতাধিক পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে।
জানা গেছে, শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের পদ্মা নদী সংলগ্ন কাজীরসুরা এলাকা। বহু বছর আগে গড়ে ওঠা বিস্তীর্ণ এ জনপদে গত কয়েক বছর ধরে পদ্মার ভাঙন তীব্রতর হয়েছে।
বর্ষা মৌসুমের শুরু এবং শেষের দিকে এসে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করতে থাকে। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই নদী ভাঙন শুরু হলে ভিটেমাটি হারা হয় অসংখ্য পরিবার। নদী ভাঙনের ফলে বসতভিটা হারিয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়েছে কাজীরসুরা ও সংলগ্ন এলাকার সাধারণ মানুষ। এছাড়াও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। জিও ব্যাগ ফেলে পানি উন্নয়নবোর্ড ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও স্রোতের তীব্রতার কারনে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, চলতি বছর বন্যায় বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসুরা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কাজিরসুরা বাজারের অর্ধ শতাধিক দোকানপাট বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে। বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম বেপারী বলেন, গত রাতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটির অর্ধেক নদীতে পড়ে গেছে। পদ্মার ভাঙনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা, বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের শিকার মানুষের কষ্টের শেষ নাই।
উৎসঃ মানবজমিন