আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল নিয়ে আবারও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, মেইল ইন ব্যালটে দেওয়া লাখ লাখ ভোট গণনার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়াটা বেআইনি। ৩ নভেম্বরেই বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা উচিত।
৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক কর্মদিবসে নির্বাচন হয় বলে অনেক মানুষ সশরীরে ভোট দিতে পারেন না৷ কাজের সূত্রে দূরে থাকার কারণেও কারও কারও ভোট দিতে সমস্যা হয়৷ এমন সব মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে সে দেশে আগাম ভোট দিয়ে ডাকযোগে ব্যালট পাঠানোর বিধান রয়েছে৷ আবার সশরীরেও এ ভোট দেওয়া যায়। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) নাগাদ আগাম ভোট পড়েছে ৭ কোটিরও বেশি। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউএস ইলেকশন্স প্রজেক্ট-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের নির্বাচনে সর্বমোট যত ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে, এবার আগাম ভোটের সংখ্যা তার অর্ধেকেরও বেশি।
এতো বেশিসংখ্যক মেইল ইন ভোটের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৬০ লাখের বেশি ভোট গণনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবগুলো ভোট গণনা শেষ করতে আরও বেশ কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। এর মানে হলো, ৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর সে রাতেই বিজয়ী ঘোষণা নাও করা হতে পারে। এখানেই শঙ্কিত ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দুই সপ্তাহ ধরে ব্যালট গণনা না করে ৩ নভেম্বরেই বিজয়ীর নাম ঘোষণা করাটা যথার্থ কাজ হবে এবং তা খুব সুন্দর দেখাবে। দুই সপ্তাহ ধরে ব্যালট গণনা করাটা যথার্থ কাজ নয় এবং আমার বিশ্বাস, এটি আইনসম্মত নয়।’ট্রাম্প আরও বলেন, ‘দেখি, কী হয়।’
ট্রাম্প বার বারই দাবি করে আসছেন, মেইল ইন ভোট যত বেশি হবে, নির্বাচনে ততো বেশি জালিয়াতি হবে। যদিও ট্রাম্প তার দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জালিয়াতির ঘটনা বিরল।
ডেমোক্র্যাটিক নেতাদের আশঙ্কা, ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে গেলে ফল মেনে নেবেন না। প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনও বলেছেন, এটিই তার সবচেয়ে বড় শঙ্কার জায়গা।