প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছিলেন নাসুম আহমেদ। ব্যাটসম্যানকে প্রলুব্ধ করার মতো ফ্লাইট আর অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ দেখিয়ে বাকি তিন ওভারেও ঝলক দেখালেন তিনি। কিউই টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে নিলেন ৪ উইকেট। সহায়ক কন্ডিশনে দারুণ বল করে ৪ শিকার ধরলেন মোস্তাফিজুর রহমানও। মন্থর উইকেটে উইল ইয়ং একা লড়াই করে গেলেও কিউইরা পেল মামুলি পুঁজি।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯৩ রানে অলআউট করে দিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ ও সিরিজ জিততে তাই সহজ সমীকরণ মাহমুদউল্লাহদের।
টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে শুরু থেকেই বাংলাদেশের স্পিনে বিপাকে পড়ে সফরকারীরা। নাসুমের প্রথম ওভারেই সুইপের চেষ্টায় গিয়ে টাইমিং গড়বড় করেন রাচিন রবীন্দ্র। সহজ ক্যাচ যায় শর্ট ফাইন লেগে। ফিন অ্যালেন সাকিবকে সুইচ হিটে ছক্কা পেটানোর সেই কৌশলেই রান বাড়াতে চেয়েছিলেন। ঝড়ের আভাস দিয়ে এই শটই থামায় তাকে।
নাসুমের বলে রিভার্স সুইপে ক্যাচ দেন পয়েন্টে। ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ওই দুই উইকেট হারিয়ে আসে কেবল ২২ রান। এরমধ্যে অবশ্য দুটি রিভিউ নষ্ট হয় বাংলাদেশের।
পাওয়ার প্লের পর নিজেদের কিছুটা সামলে নিয়ে এগুতে থাকে নিউজিল্যান্ড। টম ল্যাথাম- উইল ইয়ং পেয়ে যান জুটি। উইকেটের বিচারে দ্রুত রান আনা ছিল কঠিন। ৪৭ বলের জুটিতেও তাই ৩৫ রানের বেশি আসেনি তাদের। থিতু হয়ে যাওয়া কিউই কাপ্তান ল্যাথাম শেখ মেহেদীর বলে এগিয়ে এসে সিঙ্গেল বের করতে গিয়ে লাইন মিস করেন। ২৬ বলে ২১ রান করে ফিরতে হয় তাকে। একাদশ ওভারে ৫১ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা।
খানিক পরই বড় ধাক্কা খায় তারা। আগের ম্যাচে রান পাওয়া হেনরি নিকোলসকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন নাসুম। পরের বলেই কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফেলেন তিনি।
এক প্রান্তে টিকে ছিলেন ইয়ং। তাকে খানিকক্ষণ সঙ্গ দিয়ে মোস্তাফিজের শিকার হয়ে ফেরেন টম ব্ল্যান্ডেল। তিন বল পরই আরেক শিকার মোস্তাফিজের। কোল ম্যাকনকি তার স্লোয়ারে কাবু হলে আসে রিটার্ন ক্যাচ। বা দিকে ঝাঁপিয়ে ছোবল মেরে তা লুফেন ফিজ।
ইয়ং একার পক্ষে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি পাইয়ে দেওয়া সম্ভব ছিল না। শেষ ওভারে ৪৬ রান করে তিনি মোস্তাফিজের বলে আউট হওয়ার পরের বলেই ব্লেয়ার টিকনারকেও ছেঁটে মোস্তাফিজ গুটিয়ে দেন তাদের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ১৯.৩ ওভারে ৯৩ (রবীন্দ্র ০ , অ্যালেন ১২, ল্যাথাম ২১, ইয়ং ৪৬, নিকোলস ১ , গ্র্যান্ডহোম ০, ব্ল্যান্ডেল ৪ , ম্যাকনকি ০, এজাজ ৪, টিকনার ২, হামিশ ০* ; নাসুম ৪/১০ , সাকিব ০/২৫, শেখ মেহেদী ১/২১, মোস্তাফিজ ৪/১২ , সাইফুদ্দিন ১/১৬, মাহমুদউল্লাহ ০/৭)