April 19, 2024, 5:10 pm
সর্বশেষ:
বাংলাদেশ-ইউএই কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে সম্পর্ক আরও বৈচিত্র্যময় করার আহ্বান গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ১৩ জুয়াড়িকে আটক মিয়ানমার থেকে আরও ১৩ বিজিবি সদস্য বাংলাদেশে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: ১৭ নারীসহ ৫২ জন রিমান্ডে মোরেলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত আলফাডাঙ্গায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৪ উদযাপন শার্শায় সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের উপর হামলা সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কালামের নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আমিরাতে কানাইঘাট প্রবাসী সমাজকল্যাণ পরিষদের ঈদ পুর্নমিলনী চরভদ্রাসনে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মায়ের মামলায় তার বাবাকে গ্রেফতার

নামের মিল থাকায় ১৭ মাস সাজা খাটলেন হাসিনা, মুক্তির নির্দেশ

  • Last update: Tuesday, May 4, 2021

চট্টগ্রামে নামের একাংশ ও স্বামীর নামে মিল থাকায় প্রায় ১৭ মাস ধরে কারাগারে সাজা খাটা সেই হাসিনা বেগমকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ (চতুর্থ) আদালতের বিচারক শরীফুল আলম ভূঁঞার ভার্চুয়াল আদালত এ আদেশ দেন।

হাসিনা বেগমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই মামলার প্রকৃত আসামির নাম হাসিনা আক্তার (৩০)। তিনি পলাতক রয়েছেন। আইনজীবী বলেন, নামের আংশিক মিলে দীর্ঘ প্রায় এক বছর পাঁচ মাস হাসিনা আক্তারের সাজা ভোগ করেছেন হাসিনা বেগম। হাসিনা বেগম বর্তমানে কারাগারে বেশ অসুস্থ। তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বিষয়টি আমি নজরে আনার পর আদালত টেকনাফ থানা ও কারা কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তাকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। যাদের ভুলে তিনি এই অন্যায় সাজা ভোগ করেছেন আমি তাদের শাস্তির জন্যও আদালতে আবেদন করবো।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কর্ণফুলী থানাধীন মইজ্জারটেক পুলিশ চেকপোস্ট এলাকা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ হাসিনা আক্তার ও তার স্বামী হামিদ হোসেনকে আটক করে। পরে এই ঘটনায় কর্ণফুলী থানার তৎকালীন এসআই সালাউদ্দিন জাহেদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা ২৮(২)১৭, জি.আর মামলা নম্বর ৫৭/১৭ ও দায়রা মামলা ৩৬৩৭/১২ দায়ের কর হয়।

ওই মামলায় ৯ মাস জেল খাটার পর একই বছরের ২৭ নভেম্বর উচ্চ আদালতের আদেশে কারাগার থেকে ছাড়া পান। ২০১৯ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর ৫ম আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

সাজা হওয়ার পর ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর হাছিনা বেগমকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় টেকনাফ থানা পুলিশ। এরপর থেকে তিনি চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছেন। সম্প্রতি বিষয়টি আদালতের নজরে নিয়ে আসার পর, এ বিষয়ে টেকনাফ থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।

অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদনে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. খোরশেদ আলম দাবি করেন, বর্তমানে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে থাকা হাসিনা বেগম পূর্বে গ্রেফতার হওয়া হাসিনা আক্তার এক নয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান কারাগারে থাকা হাছিনা বেগমের স্বামী পালাতক থাকায় পূর্ণাঙ্গভাবে তদন্ত করা যায়নি। ওই এলাকায় হাসিনা আক্তার নামে কারও অস্তিত্ব নেই।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC