তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ১ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের ছাত্রাবট গ্রামে নাতির হাতে এক শতবর্ষী দাদির মর্মান্তিক খুনের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ঘাতক মনসুর আলম (৩৫) কে স্বজনরা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৩ জুলাই) দুপুর ১ টায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কোদাল দিয়ে শুয়ে থাকা শতবর্ষী দাদীর মাথায় উপর্যপরি আঘাত করলে মাথা থেঁতলে গিয়ে মগজ বেরিয়ে পড়ে! এতে ঘটনাস্থলেই দাদির মৃত্যু ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের দাবি খুনি মনসুর আলমকে বিবাহ না করানোর দায়েতার দাদিকে হত্যা করেছে। তবে স্বজনরা একথা অস্বীকার করে বলেন মনসুর আলম একজন মস্তিষ্ক বিকৃত সম্পন্ন ব্যক্তি। তাকে ৫ থেকে ৬ বছর আগে বিবাহ করানো হয়। তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়।
জানা যায়, নিহত নারীর নাম জোবেদা খাতুন (১০০) স্বামী মৃত আব্দুল আউয়াল। নিহত নারীর চার ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে বড় ছেলের নাম বুলবুল মিয়া, খুনি মুনসুর আলম বুলবুল মিয়ার সন্তান।
এ ব্যাপারে বুলবুল মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ছেলে পাগল। আমার মাও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।
এছাড়া স্থানীয় বর্তমান মেম্বার আব্দুস সালাম ও সাবেক মেম্বার ফজলুল হক এবং মাওলানা সাব্বির আহমদ নামে এক ব্যক্তি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে খুনি মনসুর আলমকে মস্তিষ্ক বিকৃত বলে দাবি করেন।
ঘটনার পর শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে আনোয়ারুল ইসলাম পাঠান ও এসআই জামালসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে এবং ধৃত মনসুরকে থানায় নিয়ে আসে।
মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, স্বজনদের ভাষ্যমতে আটক মনসুর আলম মস্তিষ্ক বিকৃত। কিন্তু আটককৃত মনসুর আলম স্বাভাবিক অসুস্থ, তবে সে মস্তিস্ক বিকৃত নয়। এ ব্যাপারে মৃত নারীর ছেলে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধৃত আসামিকে আজ মঙ্গলবার মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।