খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের সময় এক পুলিশ কনস্টেবলকে হাতেনাতে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা।
ধর্ষণের ঘটনায় মামলার পর ওই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দীঘিনালা থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব যুগান্তরকে জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃত পুলিশ কনস্টেবলের নাম নাজমুল হাসান। তার বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার গোপালনগর গ্রামে। তিনি দীঘিনালা উপজেলার ভৈরফা অটলটিলা পুলিশক্যাম্পে কর্মরত।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়রে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। জানা গেছে, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ভারী এলাকায় পাহাড়ে সোমবার বিকালে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরে মঙ্গলবার সকালে তাকে দীঘিনালা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদস্য নাজমুল হাসান দীঘিনালা থানার আওতাধীন অটলটিলা পুলিশক্যাম্পে কর্মরত। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বসতবাড়ি ক্যাম্পের পাশে হওয়ায় তার সঙ্গে নাজমুলের পূর্ব পরিচয় ছিল। সোমবার বিকালে ক্যাম্পের পাশে জনজাগরণ বৌদ্ধ বিহারের বাগানে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। এসময় স্থানীয়রা দেখে ফেলায় নাজমুল হাসানকে ঘিরে ফেলেন এবং তাকে আটক করে মারধর করেন। পরে স্থানীয় পুলিশক্যাম্প ইনচার্জ সন্তোষ কুমার মজুমদারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় নাজমুলকে।
এ ঘটনায় মামলার পর মঙ্গলবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওসি উত্তম চন্দ্র দেব বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে অটলটিলা পুলিশক্যাম্পের সদস্য নাজমুল হাসানকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।