দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৬৯৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫০৪ জন। দেশে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৮৫ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ৫৪ হাজার ৩১৮ জন।
শনিবার (২৭ জুন) বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৯টি, নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ১৫৭টি। এখন পর্যন্ত সাত লাখ ১২ হাজার ৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৫০৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৭ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ জন এবং দুই জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
অঞ্চল বিবেচনায় এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে চার জন, খুলনা বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে চার জন এবং রংপুর বিভাগে দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন চার জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭২৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৪ হাজার ২৬৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৫৯ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন ৯ হাজার ৮২৬ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ২৪ হাজার ৯৩ জনকে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে দুই হাজার ৩১২ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৫২০ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন দুই লাখ ৭৭ হাজার ১৫৭ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৩ হাজার ৯১৩ জন।