আব্দুল্লাহ আল শাহীনঃ ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি হলেও কারো কারো জন্য ঈদ বিষন্ন হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে। বিশেষ করে অচল টাকার মেশিনগুলো বেশ বেকায়দায়। বলছিলাম দেশে আটকা পড়া মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের কথা। যারা সব সময় ঈদুল আজহায় দেশে টাকা পাঠিয়ে কুরবানী আদায় করতেন, আজ তাদের অনেকেই টাকা পাঠাতে পারেননি। শুধু তাই নয় নিজেদের জমানো টাকা খেয়ে অভাবগ্রস্থ। কুরবানির ঈদ তাদের মনে স্বাভাবিকভাবেই বিষন্নতার ছাপ ফেলেছে।
সিলেটের বশির আহমদ বাংলা এক্সপ্রেসকে জানান, এপ্রিল মাসের শুরুতে দেশে যান। জুন মাসের ১ তারিখ ফেরার কথা থাকলেও আমিরাত বাংলাদেশ থেকে যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত রাখায় তিনি আটকা পড়েছেন। ঈদের আগে আমিরাতে ফিরে পরিবারের ঈদ উদযাপন আনন্দের করার লক্ষ্যে টাকা পাঠানোর পরিকল্পনা মাটি হেয়া যায় বশির মিয়ার। তিনি বলেন, ‘ প্রতি বছর কুরবানী দিলেও এবার সম্ভব হয়নি।’
ফেনির সাদিকুর রহমান একইভাবে আমিরাত থেকে দেশে গিয়ে আটকা পড়েছেন। তিনি ঈদুল আজহার আনন্দ খোঁজেও পাচ্ছেন না বলে জানান। তার মতে, ‘টাকার মেশিন বন্ধ আছে তাই মেশিন আজ পরিত্যক্ত। ‘
এমন হাজারো প্রবাসীর বিষন্নতার খবর প্রকাশ পাচ্ছে।
এদিকে করোনার কারণে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় দেশে আটকা পড়েছেন আমিরাত, কাতার, কুয়েত, সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের অসংখ্য প্রবাসীরা। কর্মস্থলে ফেরার জন্য ইতোমধ্যে করীনার টিকা গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন। ফ্লাইট স্বাভাবিক হলে আবারও ফিরবেন নিজ নিজ কর্মস্থলে এমনটাই প্রবাসীদের প্রত্যাশা।