নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ‘দাও শৌর্য, দাও ধৈর্য্য, হে উদারনাথ, দাও প্রাণ’ দিয়ে শুরু এবং প্রিয়া যাই যাই যাই বলোনা দিয়ে সমাপ্ত হয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি নজরুলের স্মরণে অনুষ্ঠিত আমিরাতের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান ‘অগ্নিবীণায় গীতাঞ্জলী’।
গতকাল শুক্রবার (১৮ জুন) দুবাইয়ের এক ফাইভ স্টার হোটেলে আমিরাতের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শেকড়ের খোঁজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি নজরুলের স্মরণে গান, কবিতা ও নৃত্যানুষ্ঠান।
সংগঠনের সভাপতি কাজী গুলশান আরার সভাপতিত্বে মামুন রেজা, শেফা ও আরিফার ছন্দে ছন্দে কথামালার উপস্থাপনায় গান পরিবেশন করেন অনন্দিতা খান, তাসনিম এ জিনাত নিপা, সামস সুমন, জেরিন তামান্না, জাবেদ আহমেদ মাসুম, মোজাফফর, আরিফ হায়দার ও কাজী মাহজাবিন নির্ঝয় পূষন।
রবি ঠাকুর ও কাজী নজরুলের লেখা কবিতা আবৃতি করেন, কাজী গুলশান আরা, বাইজুন নাহার চৌধুরী ও মাকসুদা খানম।
নৃত্য পরিবেশন করেন, কাজী মাহজাবিন নির্ঝয় পূষন ও আসদিফা নুসরাত সিদ্দিকি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল শাহেদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ইন্ডিয়ান কনস্যুলেটের প্রতিনিধি, সিআইপি মাহতাবুর রহমান নাসের, সংগঠনের উপদেষ্টা খন্দকার হাবিবুর রহমান, প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, বায়জুন নাহার চৌধুরী।
এসময় অতিথিরা বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির স্মরণে শেকড়ের খোঁজের এমন আয়োজনের কারণে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দূর প্রবাসে দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে সংগঠনটির প্রতিটি কার্যকলাপের প্রশংসা করেন আগত অতিথিরা। বিশেষ করে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও কনস্যুলেটের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কাজী গুলশান আরা বলেন, “বাংলাদেশে নিবন্ধিত আমাদের সংগঠনটি শীঘ্রই আমিরাতের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হবে। বহির্বিশ্বে দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি মানবিক কাজ চালিয়ে যেতে সবার সহযোগিতার প্রয়োজন।”