দলের কেউ ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ নির্বাচিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলীয় ডামি প্রার্থী রাখার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, যদি কারও মনোনয়ন বাতিল হয় সেক্ষেত্রে বিকল্পজন প্রার্থী হবেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ পাস করে আসতে পারবেন না। সেজন্য প্রত্যেক প্রার্থীকেই একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখতে হবে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) গণভবনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন নির্দেশনা দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সভায় নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী তিন হাজার ৩৬২ জন অংশ নেন।
সভায় গণমাধ্যমকে ডাকা হয়নি। তবে সভা শেষে সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন নেতা দলীয় প্রধানের নির্দেশনার কথা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী জানান, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো প্রার্থী যদি কোনো আসনে জয়ী হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলীয় প্রধান।
কুমিল্লার একটি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এক নেতা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন যেন প্রতিযোগিতামূলক হয়, বিরোধীদের অংশগ্রহণ যেন থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে৷ কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা জয়ী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকার একটি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এক নেত্রী ঢাকা মেইলকে জানান, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে প্রয়োজনে ‘ডামি প্রার্থী’ রাখতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকার একটি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এক নেতা ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘নেত্রী বলেছেন, আপনারা সাড়ে তিন হাজারের মতো প্রার্থী। এর মধ্যে থেকে আপনারা আমাকে তিন শ নাম দেন। পরে সবাই নেত্রীকে দায়িত্ব দেন। আরেকটা হচ্ছে, ডামি প্রার্থী রাখতে বলছেন। দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি দলের যেকোনো নেতা বা যেকোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবে বলেও নির্দেশনা দিয়েছেন।’
সভা সূত্রে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যারা নির্বাচনের মাঠে লড়বেন, তাদেরকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এর আগে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সারিবদ্ধ হয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রার্থীরা বলছেন, দল যাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে তার জন্যই কাজ করবেন তারা।