লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি পদত্যাগ করেছেন। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে বিগত আট মাস ধরে সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি পদত্যাগ করলেন।
এ নিয়ে তৃতীয়বার হারিরি লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন। ২০১৯ সালে লেবানন জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের পর প্রধানমন্ত্রী হারিরি পদত্যাগ করেন। কিন্তু গত অক্টোবরে ফ্রান্স, সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের কূঠনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে তিনি ফের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বগ্রহণ করেন।
এর আগে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে হারিরির ওয়াশিংটন সফরকালে হিজবুল্লাহ ও ফ্রি প্যাট্রিয়টিক মুভমেন্টের (এফপিএম) প্রতিনিধিত্বকারী মন্ত্রীরা পদত্যাগ করে তার সরকারকে অচল করে দিয়েছিলেন এবং নাজিব মিকাতির নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার গঠনের দিকে দেশকে ঠেলে দিয়েছিলেন।
পদত্যাগের আগে হারিরি বাবদা প্যালেসে প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পদত্যাগের পর সাংবাদিকদের সাদ হারিরি বলেন, আমি সরকার গঠন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করব। প্রেসিডেন্ট কিছু সংশোধনী চেয়ে বলেছেন, আমরা একে অন্যের সঙ্গে মীমাংসাতে পৌঁছাতে সক্ষম হবো না। সৃষ্টিকর্তা এ দেশকে রক্ষা করুন…।
বুধবার হারিরি ২৪ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভা প্রস্তাব করেন যেখানে প্রেসিডেন্ট আউনের পররাষ্ট্র প্রতিরক্ষাসহ আটজন মন্ত্রী রাখা হয় । কিন্তু মন্ত্রিসভা বন্টন নিয়ে প্রেসিডেন্ট আউনের সঙ্গে তার বিরোধ তৈরি হয়। যা কারণে তিনি পদত্যাগ করলেন।
৫০ লাখ জনগোষ্ঠীর লেবাননে ৫৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। বিগত কয়েক দশক ধরে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।