সংযুক্ত আরব আমিরাতেও শত বছরের পুরনো অনেক ভাস্কর্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিশনপ্রধান আব্দুল্লা আলী আলমউদী। তিনি বলেন, আমিরাতের ভাস্কর্যগুলো আমাদের দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ, যা পরিবর্তনের কোনো বিষয় নেই।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন, একই বছর ১৯৭১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা শেখ যায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের অত্যন্ত গভীর সম্পর্ক ছিল।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশ গঠনের ক্ষেত্রেও শুরু থেকেই আরব আমিরাতের অনেক ভূমিকা ছিল। সেখানে আমাদের লাখ লাখ কর্মী বিভিন্ন পেশায় অনেক স্বাধীনভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশিদের জন্য আমিরাতের ভিসা আরও সহজ করার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে যে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী হচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে সেখানে ইকোনোমিক জোনের জন্য জায়গা চাওয়া হয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। তাদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এছাড়া আমার নির্বাচনি এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা শেখ যায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের সম্মানে একশ একরের বেশি জায়গা দেওয়া হয়েছে। সেখানে একটি ম্যাটার্নিটি হাসপাতাল এবং নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাসহ আরও কী কী স্থাপনা তৈরি হতে পারে, সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিশনপ্রধান আব্দুল্লা আলী আলমউদী এসময় বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করছেন।