দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
ডোনাল্ড লু ভারত সফর শেষ করে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন। মার্কিন এই মন্ত্রীর সফরকে অনেক গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এর একটি বড় কারণ হলো, একদিকে যখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশ্ন তুলছে, তখন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের তৎপরতা নিয়েও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সরকার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ডোনাল্ড লু সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করবে।
লু এমন এক সময়ে ঢাকা সফরে এলেন যখন পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতদের নানা তৎপরতা নিয়ে সরকারের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে।
কয়েকদিন আগেই ঢাকার মার্কিন দূতাবাস একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই সফরের সময় লু জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শ্রম এবং মানবাধিকার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আলোচনার সময় তারা র্যাবের ওপর থেকে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞ তুলে নেয়ার জন্য জোরালো দাবি তুলে ধরবেন।
গেল ৭ জানুয়ারি চার দিনের বাংলাদেশ সফরে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আইলিন লবাখার।
তার সফরের পর এ সপ্তাহেই এলেন ডোনাল্ড লু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন এই দুই কর্মকর্তার প্রায় একই সময়ে বাংলাদেশ ভ্রমণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এই দুটো জায়গাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি লেভেল।