ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা জোরেশোরে শুরুর পরও কাঙ্ক্ষিত টিকা না পাওয়ায় তা ধরে রাখতে পারিনি। আশা করছি টিকার আর কোনো অভাব হবে না। আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাচ্ছি, আগামীতে আরও পাব। ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি টিকা আসবে, যা ৫ কোটি মানুষকে দেওয়া যাবে।
শুক্রবার রাত ১১টা ১৩ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি মডার্নার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম চালানে ১৩ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছে। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন টিকা বুঝে নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। পরে এক আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আনন্দের সঙ্গে বলছি, আমরা ১৩ লাখ টিকা গ্রহণ করলাম। আরও ১২ লাখ ডোজ টিকা (শনিবার) সকালে এসে পৌঁছাবে।
মডার্নার তৈরি টিকা ইতোমধ্যে জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ টিকা ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সের মানুষকে দেওয়া যায়। প্রত্যেককে এই টিকা দুই ডোজ করে দিতে হয়। প্রথম ডোজ দেওয়ার চার সপ্তাহ পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ। মডার্নার টিকা মাইনাস ১৫ থেকে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয় যা বাংলাদেশের জন্য কঠিন। তবে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ টিকা ৩০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। আর ৮ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই টিকা ১২ ঘণ্টা ব্যবহারের উপযোগী থাকে।
মডার্নার টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে।