টাইফুনের কারণে দেশের কারও মৃত্যু হলে সরকারি কর্মকর্তাদের কঠোর শাস্তি দেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। টাইফুন ‘মেইসাক’ আঘাতহানার পর শনিবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ সাউথ হ্যামগিয়ং পরিদর্শনে যান কিম। এ সময় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন তিনি।
স্থানীয় নেতাদেরকে সতর্ক করেন কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা। বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে সবাইকে সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ মেনে উদ্ধার অভিযানে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। খবর কেসিএনএ, রয়টার্স ও এএফপির।
চলতি বর্ষা মৌসুমে রেকর্ড ভারি বৃষ্টিপাত, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়েছে বিশ্ব থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যে পূর্ব চীন সাগরের মধ্যদিয়ে গত সপ্তাহে (বৃহস্পতিবার) কোরীয় উপকূলে আঘাত হানে চলতি বছরের ৯ম টাইফুন মেইসাক।
এর প্রভাবে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস ও ভারি বৃষ্টিপাতে কোরিয়ার দুই অংশেই (উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া) অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, টাইফুন মেইসাকে দেশটির নর্থ ও সাউথ হ্যামগিয়ং প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় অন্তত এক হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অল্প কয়েকটি বিল্ডিং ও কৃষিজমি বাদে বাকি সব তলিয়ে গেছে।
কেসিএনএ আরও জানায়, কাংউন প্রদেশের উনসন শহরের রাস্তাঘাটও তলিয়ে গেছে। এতে হতাহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। তবে কতজন আহত, নিখোঁজ কিংবা মারা গেছে তা সুনির্দিষ্টভাবে খবরে উল্লেখ করা হয়নি।এরই মাঝে শনিবার সাউথ হ্যামগিয়ং পরিদর্শনে যান কিম। এ সময় উপকূলীয় এলাকার অবকাঠামো নানা দুর্বলতা উল্লেখ করে সেগুলো দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা সম্পর্কিত একটি কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে নেতৃত্ব দেন কিম। এ সময় তিনি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
বৈঠকে তিনি প্রাদেশিক দলীয় কমিটির চেয়ারম্যানকে সরিয়ে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেন। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেসিএনএ। এর আগে একটি খোলা চিঠিতে কিম দলীয় কর্মীদের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। করোনা মহামারীতে বিশ্বে যে সংকট তৈরি হয়েছে সে বিষয়েও সতর্ক করেছিলেন তিনি।