মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন। কোভিড-১৯ জনিত কারণে দীর্ঘ বিরতির পর সবাইকে সাথে নিয়ে সশরীরে মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে শনিবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের বর্ণিল এ আয়োজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন পরিণত হয় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলায়।
অনুষ্ঠানটির প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক সফররত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা এমপি। প্রদত্ত বক্তব্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও অসামান্য সাফল্যগাথা তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, বৈদেশিক বিনিয়োগ, ও পররাষ্ট্রসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রার বিভিন্ন দিক। মাথাপিছু আয়, জিডিপির উর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সূচক তুলে ধরেন তিনি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, স্বাধীনতার পাঁচ দশকে বাংলাদেশআন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বস্ত নাম। আজ বিশ্ব শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ এই মুহূর্তে ইউএন উইমেন নির্বাহী বোর্ড, পিসবিল্ডিং কমিশন, অভিবাসনসহ বেশ কিছু সংস্থা ও প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব প্রদান করছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনার আগে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। উভয় পর্বেই অংশগ্রহণ করেন সফররত প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা এমপি।