
বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খান (২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে সোমবার (১৫ মার্চ) রাতে ১০টার দিকে তাকবীরকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
নিহত তাকবীর ইসলাম খান বগুড়া শহরের মালতীনগর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, গত ১২ মার্চ (বৃহস্পতিবার) জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জেলার ধুনটে উপজেলা ছাত্রলীগের একটি সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য রওনা হন। পথিমধ্যে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খানের মোটর সাইকেলের সাথে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রউফের এক কর্মীর মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে। তখন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় বিষয়টি সমাধান করে দেন।
ধুনট সমাবেশ শেষে সাতমাথায় জিলা স্কুল সংলগ্ন বিলবোর্ড এলাকায় রাত ৯টার দিকে মোটর সাইকেলে ধাক্কার ঘটনায় তাকবীর ইসলাম খান ও আব্দুর রউফের কর্মীদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়ের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খান ছুরিকাঘাতে আহত হন। এসময় উভয় পক্ষের আরো কয়েকজন আহত হন।
এ ঘটনার একদিন পর ১৪ মার্চ (শনিবার) রাতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খানের মা আফরোজা ইসলাম বাদী হয়ে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৩০ থেকে ৩৫ জনের নামে মামলা করেন।
অপরদিকে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ হাসান বাদী হয়ে তাকবীর ইসলাম খানসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাত জনের নামে মামলা করেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। এঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।