ভারতের গ্রামে চীনা সেনাবাহিনীর ঢুকে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে করে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের দিন কাটছে আতঙ্কে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই থেকে তিন সপ্তাহের ভেতর চীনা সেনাবাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলএসি বরাবর অন্তত চার জায়গা অতিক্রম করে অবস্থান নিয়েছে।
সেই জায়গাগুলো হলো- লাদাখের প্যাংগং সো বা প্যাংগং লেক, গালওয়ান নালা ও ডেমচক, আর সিকিমের নাকু লা।
কিছুদিন আগে ভারতীয় ও চীনা সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। তখন প্যাংগং লেক পাড়ের গ্রামটির অবস্থা কী ছিল সেটির কিছু ফুটেজ এসেছে বিবিসির কাছে।
চীনের সঙ্গে ভারতের বিতর্কিত সীমানার ৩০-৪০ কিলোমিটার দূরেই অবস্থান মান নামের এই গ্রাম। প্যাংগং লেক পাড়েই অবস্থিত এটি। এখানে মে মাসে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এই অঞ্চলটিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তাই স্থানীয়দের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এক রকম অসম্ভব।
দুর্জয় নামে মান গ্রামের এক লোক বলেন, ‘আমাদের গ্রামে করোনা ভাইরাস বা লকডাইন কিছুর প্রভাব নেই।’
গ্রামের সাবেক কাউন্সিলর নামগাল বুরবক বলেন, ‘তার গ্রামটি ভারত নিয়ন্ত্রিত লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে অবস্থিত। এখানে কিছুই যদি না হতো তাহলে এতো চীনা সেনা কেন? আমরা আগে ফিঙ্গার আর্ট পর্যন্ত যেতে পারতাম। এখন চীনের সেনারা এখান পর্যন্ত এসেছে। এটাও তো অনধিকারপ্রবেশ। দেখুন গালওয়ান উপত্যকায় আমাদের ঘোরা চড়ে বেড়াতো। এখন চীনের সেনারা সেটা নিয়ন্ত্রণ করছে।’
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, ‘যে সীমানা রেখা চীন ও ভারতকে আলাদা করেছে তার পুরোটাই বিতর্কিত। কারণ দু’দেশই দাবি করছে এটি তাদের অঞ্চল। আর এটিই গ্রামবাসীদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। কখন চীনের সেনাবাহিনী ঢুকে পড়ে তা নিয়ে আতঙ্কে কাটছে তাদের দিন।’