ডিলার ও পাইকারি পর্যায়ে চিনির কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। বলেন, কারখানা পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন ডিলার ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা।
গ্যাস সংকটে ২৫ শতাংশ উৎপাদন কমলেও রোববার থেকে রিফাইনারিতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ছে বলে এ সময় উল্লেখ করেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। বলেন, দুই একদিনের মধ্যে উৎপাদন স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে।
ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, কৃত্রিম সংকট তৈরির নেপথ্যের কারিগরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশে বছরে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন পরিশোধিত চিনির চাহিদা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় চিনিকলগুলো ৩০ হাজার টন উৎপাদন করছে। চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর।
অন্যদিকে কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা কালো বাজার থেকে চিনি ক্রয় করছে। এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে এবং পাকা রসিদ রাখতে হবে।