চার দশকেও রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মিত হয়নি পূর্ণাঙ্গ হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্স।
হেলিকপ্টার কোম্পানিগুলোর জন্য সম্প্রতি হ্যাঙ্গার নির্মাণ করা হলেও দরকারি অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় এটি ব্যবহারের অনুপযোগী। এমনকি এটি উড্ডয়নের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিযোগ আছে।
এ অবস্থায় জুলাইয়ের মধ্যে এই হ্যাঙ্গার সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন হেলিকপ্টার সেবাদাতারা। দেশে বেসরকারি উদ্যোগে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টার সেবা চালু হয় ১৯৯৯ সালে। ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা ও ত্রাণ তৎপরতাসহ জরুরি প্রয়োজনে গত এক যুগে পরিধি বেড়েছে হেলিকপ্টার সেবার। বর্তমানে ১০টি কোম্পানির ৩০টি হেলিকপ্টার ও ৮টি উড়োজাহাজ সেবা দিচ্ছে। সিভিল এভিয়েশন থেকে জায়গা ইজারা নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হ্যাঙ্গার স্থাপন করে কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
কিন্তু তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের জন্য জুলাইয়ের মধ্যে হ্যাঙ্গারসহ হেলিকপ্টার সেবাদাতাদের সব স্থাপনা সরানোর নিদের্শ দিয়েছে সিভিল এভিয়েশন।ব্যবহারকারীরা বলছেন, ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিভিল এভিয়েশন যে হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্স করেছে সেটির কোন দরজা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা নেই। উড্ডয়নের জন্যও এটি ঝুঁকিপূর্ণ। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের খরচ বাবদ হেলিপোর্ট নির্মিত না হওয়া পর্যন্ত তিন বছরের জন্য ভাড়া মওকুফের দাবি তাদের।
বাংলাদেশ এভিয়েশন অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বলেন, এটা একদম যেটা ল্যান্ডিং স্ট্রিপ তার পাশে। হেলিকপ্টারকে রানওয়ে ক্রস করতে হয়। অনেক বিষয় আছে যেগুলো ক্যালকুলেট করে আমাদের পাইলটরা ফ্লাইট করে।
বেক্সিমকো হেলিকপ্টারের নির্বাহী পরিচালক আশীষ রায় চৌধুরী বলেন, সেখানকার বিল্ডিংয়ে কোন অফিস নেই শুধুমাত্র একটি হাঙ্গার বসানো। সবচেয়ে ভয়ানক যেটা হচ্ছে একটি হেলিকপ্টার যখন স্টার্ট দিবেন তখন তার উপরে আঘাত আসতে পারে। যার জন্য একটা দরজা অত্যাবশক।
এদিকে, বেসরকারি বিমানসংস্থাগুলোর জন্য কোন হ্যাঙ্গার না থাকায় উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণে বাড়তি ব্যয়ের পাশাপাশি ফ্লাইট অপারেশনেও পড়তে হয় সমস্যায়। বেসরকারি হ্যাঙ্গার ভেঙ্গে ফেলা হলে আরো বেশি সংকটে পড়ার আশঙ্কা তাদের।