তিমির বনিক ,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: যেদিকে চোখ যায় চারিদিকে চিরসবুজ চায়ের সমারোহ তার মাঝখানে চোখ জুড়ানো শাপলা ফুল। পানির উপর ফুটে থাকা লাল শাপলা ফুলের অপরুপ সুন্দর্য যে কেউকে মুগ্ধ করবে। চোখে না দেখলে নজরকাড়া সৌন্দর্যের অনুমান করা যায় না।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাক্ষণবাজার ইউনিয়নের হিংগাজিয়া চা-বাগানে অবস্থিত ‘কাটাইলিয়া লেক’। আগে শুধু কাটাইলিয়া নামে পরিচিত হলেও সেখানকার সোন্দর্যের কারনে পর্যটকরা কাটাইলিয়া লেক নাম দিয়েছেন। এই কাটাইলিয়া লেকে ফুটেছে চোঁখে লাগার মতো লাল শাপলা ফুল। দূর থেকে দেখা মাত্র মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে ‘বাহ কি সুন্দর’। তখন মনের অজান্তেই গুনগুনিয়ে উঠবেন, ‘তুমি সুতোয় বেঁধেছ শাপলার ফুল, নাকি তোমার মন….’
কাটাইলিয়ে লেকে গেলে চারিদিক থেকে ভেসে আসে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কোলাহল। লেকের পাড়ে ঘুরতে থাকলে দেখা যাবে বানর এক গাছের ডাল থেকে অন্য গাছের ডালে লাফাতে। হাটার মধ্যে কাঠবিড়ালের আগমন বেশ ভালোই লাগে, এছাড়াও রয়েছে দেশী হরেক প্রজাতির আনাগোনা। এটি আশেপাশের পরিবেশকে মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।
স্থানীয়রা জানান, এখানের সুন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। এই কাটাইলিয়ার কারনে এই স্থানের সুন্দর্য ফুটে উঠেছে। আমাদের আশে পাশের গ্রামের অনেকেই এখানে ঘুরতে আসেন।
পর্যটক সন্তোষ দেব বলেন, এমন অপরুপ সুন্দযের মধ্যে লাল শাপলার রাজত্ব মনকে প্রফুল্ল করে তুলেছে।
সিলেট থেকে কাটাইলিয়া লেকে ঘুরতে আসা রমা কান্ত বলেন, আমার দেখা অন্যতম একটি লেক। উঁচুনিচু চায়ের টিলা এবং লেকের মনকাড়া সুন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। এই লেকটিকে আরো সুন্দর করলে এই উপজেলায় আরো একটি পর্যটক স্থান যোগ হবে।
এই ব্যাপারে হিংগাজিয়া চা-বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, এটি একটি চা কোম্পানির প্রাইভেট প্রোপার্টি বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারনে এটি আমরা পর্যটকদের জন্যে উন্মুক্ত করতে পারবো না। কাটাইলিয়া মূলত চা গাছে পানি সেচের জন্য করা হয়েছে। যা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত সম্ভব হবে না।