তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: দিনে গরম, রাতে শীতল হাওয়া আর ভোরের ঘন কুয়াশা বলে দিচ্ছে শীতকাল। আর বেশী ফুলের সুগন্ধী জানান দেয় বেশি দূরে নয়। অনেকেই শীতবস্ত্র রোদে শুকাতে দিচ্ছেন।
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল, রাজনগর, কুলাউড়া, বড়লেখা, জুড়ী ও কমলগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি ও সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় শীত পড়তে শুরু করেছে।
প্রতিদিনই একটু একটু করে তাপমাত্রা কমছে। এখনও সেভাবে শীত অনুভূত না হলেও সন্ধ্যা আর শেষ রাতে শীতের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে। শীত জেঁকে বসার আগেই উপজেলার লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে। শীত বরণে এ এক অন্য রকম প্রস্তুতি।
সকালে কুয়াশার দেখা মিলছে। ঘন কুয়াশায় চাদরে ডাকা পড়ছে ভোরের সোনারাঙা রোদ। আর এই কুয়াশাই শীতের বার্তা জানান দিচ্ছে। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে কার্তিকের পর অগ্রহায়ণ পেরিয়ে পৌষ-মাঘ শীতকাল ধরা হলেও এবার আশ্বিনের শেষের দিকে শীত আসতে শুরু করেছে। শ্রীমঙ্গলের স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক মোঃ জালাল উদ্দিন জানান, সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরম অনুভূত হলেও রাতের প্রথম দিকে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে।
ভোররাতে চাদর বা কাঁথা গায়ে দিতে হচ্ছে। রাতের বেলায় কুয়াশা ঝরছে এবং সকালের দিকে ধানের পাতায় কুয়াশার আস্তরণ দেখা যাচ্ছে। উত্তর থেকে আসছে শিরশিরে বাতাস। সকাল-সন্ধ্যা ঘাসের ওপর মুক্তার মতো শিশির কনার দেখা মিলছে। ভোরের প্রকৃতিতে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। যদিও দিনে গরমের তীব্রতা খুব একটা কমেনি।
গ্রামের মেঠোপথে কোমল সূর্যের রশ্মিতে ঘাসের ডগায় জমে থাকা মাঠে ঘাটে শিশিরবিন্দু মুক্ত দানার মতো ঝলমল করছে। সে ঘাস অলঙ্কারিত করছে লাল-সাদা শিউলি ফুল। আর গ্রামও শহরের বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন শাক-সবজি। গাছের পাতা থেকে শিশির ঝরে পড়ার টুপটাপ শব্দ আর পাখিদের কলরব আন্দোলিত করছে গ্রামীণ জীবনপথ। চা বাগান ঘেরা মৌলভীবাজার জেলায় বাগানের ভেতরে গেলে মনে হয় যেন সে এক সৌন্দর্যের অবলীলায় এক স্বর্গরাজ্য।