ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি থাকায় লোডশেডিং চরম পর্যায়ে পৌঁছছে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে
চরভদ্রাসন -১ উপকেন্দ্রের সর্বোচ্চ চাহিদা দিনে প্রায় ৪ মে: ও: এবং রাতে প্রায় ৬ মে: ও:। উপকেন্দ্রে ৩ টি সার্কিট/ ফিডার রয়েছে। একটি ফিডার চরভদ্রাসন উপজেলা এলাকায়, একটি গাজিরটেক, হাজীগঞ্জ এলাকায় এবং তৃতীয়টি উত্তর আলমনগর, মৌলভীরচর এলাকায়। এরমধ্যে শুধু উপজেলা ফিডারের চাহিদা দিনে প্রায় ১.৮ মে: ও: এবং রাতে প্রায় ২.২ মে: ও:।
এজিএম পল্লী বিদ্যুৎ চরভদ্রাসন জোন অফিসার জানান,
লোডশেড আসলে ফরিদপুর পিজিসিবি গ্রিড হতে নির্দিষ্ট লোড বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের চেয়ে বেশি ব্যবহার করলে ফরিদপুর থেকে অথবা ঢাকা থেকে স্ক্যাডার মাধ্যমে লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন চরভদ্রাসন, সদরপুর এবং নগরকান্দা -১ এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ একসাথে বন্ধ হয়ে যায়। একবার বন্ধ করলে অনেক রিকুয়েস্ট করলেও চালু করতে অনেক সময় নেয়।
এখন চরভদ্রাসনের বরাদ্দ থাকে ১.৭ থেকে ২.২ মে: ও:।
এক্ষেত্রে শুধু উপজেলা ফিডার চালালেই বরাদ্দ ফুরিয়ে যায়। ফলে যখন উপজেলা ফিডার চলে তখন অন্য এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়। আবার উপজেলা ফিডার বন্ধ করলে বাকি ২ টা ফিডার চালু রাখা যায়।
সংকটময় সময়ে বিদ্যুতের সমবণ্টন করতে ১ ঘন্টা পরপর পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
বরাদ্দ বাড়লে সিডিউল পরিবর্তন হবে। সকলকে ধৈর্য ধারন করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি । এদিকে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং ও প্রচন্ড গরমে দিকবেদিক ছুটছে সাধারণ মানুষ।