দলীয় কোন্দলের জেরে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দীন চৌধুরীর ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড ছাত্রলীগ নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর দেয়া একটি স্ট্যাটাস ফেসবুকে শেয়ার করেন মীরসরাইয়ের আব্দুল আউয়াল তুহিন। তারই জেরে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাতে তার বাড়িতে হামলা চালায়।
বৃহস্পতিবার সকালে তাকে দেখতে গেলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দীন চৌধুরীর ওপরও হামলা চালানো হয়। ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয় তাকে। পরে নেতাকর্মীরা উদ্ধার করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে গিয়াসউদ্দীন চৌধুরী বলেন, গালাগালি করতে করতে আমাকে আক্রমণ করা হয়। আমাকে তারা বলে, তুই কেনো এখানে আসলি? এসব বলেই আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর শুরু করে।
নিজামপুর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল তুহিন বলেন, আমার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ফজরের আজানের সময় আমি গিয়াস ভাইকে সব কিছু জানাই। গিয়াস ভাই সব শুনে সকাল সাড়ে ৭টায় নিজামপুর আসে। ঠিক তখনই আগের সেই দুটো গাড়ি দিয়ে এসেই সবার সামনে আবারো প্রকাশ্যে তারা হামলা চালায়।
দীর্ঘদিন ধরেই দুটি ধারায় বিভক্ত মীরসরাই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকাশ্য হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় নেতারা।
এ প্রসঙ্গে মীরসরাই আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারী মো. নুরুল হুদা বলেন, দলীয় ভাবে এদের শাস্তি হওয়া উচিত। সাংগঠনিক বিধানমতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সংগঠনের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ রেজাউল করিমের।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কোনো ছেলে হামলা করে নি। অন্যরা হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগের নাম দিচ্ছে।
এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।