ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় মঙ্গলবার রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাসের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে। তাদের দাবি, গত কয়েক দিন ফিলিস্তিনি উপত্যকা থেকে বিস্ফোরক ভর্তি বেলুন ইসরায়েলের অভ্যন্তরে পাঠানোর প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালানো হয়। বুধবার ইসরায়েলি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই হামলায় ব্যবহার হয়েছে যুদ্ধবিমান, অ্যাটাক হেলিকপ্টার ও ট্যাংক। তবে এই হামলা নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনে যুক্ত সংগঠন হামাস। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি এবং নিজ ভূমিতে ফেরার দাবিতে ২০১৮ সালে গাজার ইসরায়েলি সীমান্তে তীব্র বিক্ষোভে নামে ফিলিস্তিনি নাগরিকেরা। ওই বিক্ষোভের মধ্যে প্রথমবারের মতো অস্ত্র হিসেবে বিস্ফোরক বাধা বেলুন ও ঘুড়ির ব্যবহার দেখা যায়। এতে ইসরায়েলের বেশ কিছু খামার ও বসতিতে আগুন ধরে যায়। এসব বেলুন ও ঘুড়ি পাঠানোর জন্য গাজা উপত্যকার নির্বাচিত শাসক গোষ্ঠী হামাসকে দায়ী করে থাকে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের অভিযোগ সম্প্রতি আবারও ওই ধরনের বেলুন ওড়ানোর ঘটনা বেড়েছে। এর জবাবে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে পৃথিবীর বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত হওয়ায় গাজা উপত্যকার কেরেম শ্যালম চেকপোস্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই চেকপোস্ট দিয়ে গাজায় পণ্য পরিবহন করা হতো। একে ‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’র আরও একটি পদক্ষেপক আখ্যা দিয়েছে হামাস। পরে মঙ্গলবার রাতে গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি বাহিনীর বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতের হামলায় হামাসের বেশ কয়েকটি ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো ও পর্যবেক্ষণ পোস্ট গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব হামলায় হতাহতের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরক ভর্তি বেলুনের কারণে শুধু মঙ্গলবারই ৬০টি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।