খাজনা দেবে না, ট্যাক্স দেবে না, ইউটিলিটি বিল দেবে না, এটা তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি? এ ধরনের বিষয় উদ্ভট ও হাস্যকর। দেশ কি আরেকবার স্বাধীন হচ্ছে? এটা কি বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ? কী দুঃসাহস! মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খাজনা-ট্যাক্স না দিলে শাস্তি পেতে হবে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, নির্বাচন করলে ব্যর্থ, আন্দোলন করে ব্যর্থ, এখন তাদের (বিএনপি) সামনে আর কী আছে? এই নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব আরও সংকুচিত হবে। আরও সংকুচিত হবে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। অনিশ্চয়তা বাড়বে এবং নেতিবাচক রাজনীতির জন্য। সন্ত্রাসের পথ তারা বেছে নিয়েছে, এই সন্ত্রাসের রাজনীতি আর গণতন্ত্র বিপরীতমুখী।
তিনি আরও বলেন, যারা সন্ত্রাসের রাজনীতি করে তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। সন্ত্রাস করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয় না। দুনিয়ার কোথাও হয়নি।
কাদের আরও বলেন, বিএনপি ট্যাক্স দেবে না। ট্যাক্স না দিলে জেলে যেতে হবে। ইউটিলিটি বিল না দিলে শাস্তি হবে। বিদ্যুতের বিল না দিলে লাইন কাটা যাবে। পানির বিল না দিয়ে পানির লাইন কেটে যাবে। সোজা কথা। খাজনা-ট্যাক্স না দিলে শাস্তি পেতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অসহযোগ করবেন, ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন দলের লোকদের নিষেধ করছেন, আঙুল ফুলে অনেকেই কলাগাছ। আগেই হয়ে গেছে। এদের অনেকেরই ব্যাংকে লেনদেন আছে। কাজেই তারা তারেক রহমানের ডাক শুনতে গেলে, আন্দোলনের ডাক শুনতে গেলে তাদের নিজেদেরই সব যাবে। আমও যাবে, ছালাও যাবে। কাজেই তারেকের ডাকে তারা সাড়া দেবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।
নির্বাচনী সহিংসতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাদের বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্ত করছে। তদন্তে যে-ই অপরাধী তাকে শাস্তির আওতায় আসতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিন্তু এই দেশে আর ওয়ান-ইলেভেন হবে না। কোনো সুযোগ নেই। (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) পিটার হাস ইন্ডিয়া গেছেন। এর আগে কলম্বোও গেছেন। (ভারত) তাদের অবস্থান এক জায়গায়, তারা বাংলাদেশের নির্বাচন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না। এটা তারা পরিষ্কার বলে দিয়েছে।