কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে দিশান (১৫) নামে এক কিশোর দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ৯ বছরের অপর এক ছেলে শিশুকে বলাৎকার করেছে। এ ঘটনায় অন্যান্য শিশুরা দিশানকে আটক করলে তার স্বজনরা বাড়িতে হামলা চালিয়ে দিশানকে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় শনিবার (২৪ অক্টোবর)। রোববার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেনি। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের পশ্চিম পলাশবাড়ী গ্রামে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজার রহমান এজাহার পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি ওসি (তদন্ত) আনোয়ারুল ইসলাম দেখছেন।
নিগৃহিত শিশুটির পিতা রিক্সাচালক মমিনুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত দিশানের বাড়ি দুই কিলোমিটার দূরে একই ইউনিয়নের হালমাঝিপাড়া মধ্য পলাশবাড়ি গ্রামে। সে ওই এলাকার বাছদ্দির পূত্র। দীর্ঘ আড়াই/তিন বছর ধরে পশ্চিম পলাশবাড়ী গ্রামে তারই প্রতিবেশী নানী বেগম বেওয়ার বাড়ীতে অবস্থান করে আসছেন। সে লেখাপড়াও করে না। ঘটনার দিন বুধবার বিকেল ৫টার দিকে ভিকটিম শিশুটিকে বাটুল দিয়ে পাখি মারার কথা বলে তাকে পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতে নিয়ে যায় দিশান। সেখানে পরিত্যক্ত শ্যালো মেশিন ঘরে নিয়ে গিয়ে শিশুটির উপর জোড় করে বলাৎকার করে। শিশুটির চিৎকারে এলাকার অন্য শিশুরা এগিয়ে এসে দিশানকে ধরে ফেলে। পরে তাকে নিপীড়নের শিকার শিশুটির বাড়িতে নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে দিশানের মামা সফিকুল ও সাজুসহ বেশ কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে নির্যাতিত শিশুটির বাড়িতে হামলা চালিয়ে অভিযুক্ত দিশানকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
শিশুটির পিতা আরো জানান, এ ঘটনার পর শিশুটির খাওয়া-দাওয়ায় অরুচি, জ¦র এবং স্যানিটেশনেও সমস্যা দেখা দেয়। পরে শিশুটি ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে তার মাকে খুলে বলে। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও বৃহস্পতিবার সে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পরে। অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার দুপুরে শিশুটিকে হাসপাতাল কর্তপক্ষ ছাড়পত্র দেয়। এসময় পুলিশও এসে শিশুটির সাথে কথা বলে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেদওয়ান ফেরদৌস সজীব জানান, এ অভিযোগে একটি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভাল। রোববার দুপুরে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।