সিলেটে ৫ হাজার একর জমি আবাদে কুশিয়ারা নদীর পানি ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ। খাল বা ক্যানেল খনন করে নদীটির পানি আবাদি জমি অবধি পৌঁছানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বরাক উপত্যকা বেয়ে নেমে আসা কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহারে ‘রহিমপুর খাল’ নামে বাংলাদেশের ওই ক্যানেল বা খাল খনন প্রকল্পের বিষয়ে দিল্লির অনাপত্তি চায় ঢাকা। এ নিয়ে বহু দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্বে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ভারতের তরফে যে অবজারভেশন বা আপত্তি করা হয়েছে তা প্রত্যাহার হয়নি। ঢাকার কর্মকর্তারা বলছে, গত জানুয়ারিতে দুই দেশের পানি সম্পদ বিষয়ক টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে উভয় পক্ষই বিষয়টির ‘দ্রুত নিষ্পত্তি’র বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছিল। কিন্তু রহিমপুর খাল খননে দিল্লির আপত্তি প্রত্যাহার সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি আজ অবধি পায়নি ঢাকা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ১৬ই মার্চ বাংলাদেশ ও ভারত পানি সম্পদ সচিব পর্যায়ের কাঙ্ক্ষিত বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকা চাইছে ওই বৈঠকে আর যাই হোক রহিমপুর খাল খনন প্রশ্নে দিল্লির আপত্তি প্রত্যাহার হোক। অর্থাৎ সিলেটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদী কুশিয়ারার পানি ব্যবহারে দিল্লি ক্লিয়ারেন্স দিক। বৈঠকে যৌথ নদীগুলোর পানির বণ্টন প্রশ্নে দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে থাকা সব অমীমাংসিত বিষয়ে আলোচনা করতে ঢাকা আগ্রহী জানিয়ে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গতকাল মানবজমিনকে বলেন, প্রায় ১১ বছর ধরে চুক্তি সইয়ের অপেক্ষায় থাকা তিস্তার পানি বণ্টন বিষয়ে দিল্লি আরো সময় নিতে চায়। অন্তত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপির পোক্ত অবস্থান না হওয়া পর্যন্ত তিস্তা যে সই হচ্ছে না তা নিয়ে ঢাকা কনভিন্স। কিন্তু এক তিস্তার জন্য তো অন্য ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, রহিমপুর খাল, অববাহিকা-ভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনার আলোচনা আটকে থাকতে পারে না। এটা কারও জন্যই সমীচীন নয়। ঢাকা এবং দিল্লির উভয়ের নীতি নির্ধারকরা বিষয়টি বুঝেন এবং সে মতেই আলোচনা এগুচ্ছে।
উৎসঃ মানবজমিন