রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে টানা চতুর্থবারের মতো কুড়িগ্রাম-২ (কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন জাফর আলী। কিন্তু আগের তিনবারের মতো এবারও তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মহাজোটের আসন ভাগাভাগিতে এখানে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পনির উদ্দিনকে ছেরে দিতে হলো আওয়ামীলীগের বর্ষিয়ান নেতা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলীকে। এর আগে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সমর্থনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
অন্যদিকে, কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও দলীয় প্রার্থী আছলাম হোসেন সওদাগরকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ ছাড় দিয়েছে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমানকে। এখানে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান নির্বাচন করবেন। জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আছলাম হোসেন সওদাগর কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে রাজি হননি। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা হতাশার কথা জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি মো.জাকির হোসেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের পত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ গণমাধ্যমকে বলেন, ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে জাকের পার্টির তিন প্রার্থী ও কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী, রৌমারী ও রাজীবপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু হানিফ, আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী কুড়িগ্রাম-১ আসনের আছলাম হোসেন সওদাগর ও কুড়িগ্রাম-২ আসনের মো. জাফর আলী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।