টাঙ্গাইলের কালীহাতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিপুল পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ফেলে দেয়ার সময় উদ্ধার করা হয়েছে।
গত রোববার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডের সামনে থেকে ওষুধগুলো উদ্ধার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্টাফ জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপার জাহিদুল ইসলাম তালুকদার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মেসিতে এবং উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওয়ার্ডের ওষুধের চাহিদাপত্রে সাক্ষর নিয়ে ওই পত্রে উল্লেখিত পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ না করে স্টোরে জমা করতে থাকে। এতে করে ঐ স্টোরে বিপুল পরিমাণ ওষুধ
মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়।
এদিকে রোববার বিকেলে মেয়াদোত্তীর্ণ ঐসব ওষুধ ফেলে দেয়ার উদ্দেশ্যে স্টোর রুমের পাশে পুরুষ ওয়ার্ডের সামনে জমা করে রাখে স্টোর কিপার জাহিদুল ইসলাম তালুকদার। পরবর্তীতে সংবাদ পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উম্মে রুমান সিদ্দিকী ওষুধ গুলো উদ্ধার করেন এবং সাথে সাথেই ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন
করেন।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভিযুক্ত স্টোর কিপার জাহিদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। অন্যের দোষ আমার উপর চাপানোর চেষ্টা চলছে। এ ঘটনার সাথে তাঁর কোন সম্পৃক্ততা নেই বলেও তিনি দাবি করেন।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ উম্মে রুমান সিদ্দিকী জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মিরাজ আহমেদকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবেনা।