‘জনগণ নাকি সব তাদের (বিএনপি) সঙ্গে। জনগণ যদি তাদের সঙ্গেই সব থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই জনগণ আসল কোথা থেকে। লাখ লাখ মানুষ ক্ষমতাসীন দলের সমাবেশে জড়ো হচ্ছে। সুতরাং কার দিকে জনগণ আছে সেটি ভোটে প্রমাণ হবে।’
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় বৃহত্তর ফরিদপুর সমিতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান এসব কথা বলেন।
বিএনপির বর্তমান আন্দোলন ও কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানতে চান, আমরা রাস্তায় নামি কেন! উনাদের সময় আমরা কেন শান্তি মিছিল-মিটিং করছি। আমরা তো অশান্তি সৃষ্টি করছি না বরং তারা অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে- এই আশঙ্কায় আমরা শান্তি মিছিল করছি।’
প্রবাসীদের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের অবদানের কথা বলতে গিয়ে শাজাহান খান বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন অনেকে। বিভিন্ন দেশের নাগরিকসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। জনমত গঠন, আর্থিক সহায়তা ও অস্ত্র পাঠানোসহ সহযোগিতা করা অনেককেই মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এখনও তালিকাভুক্ত করা হয়নি এমন কেউ থাকলে তাদেরও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেবে সরকার।
এ ছাড়া তিনি সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ পদ্মাসেতুর কল্যাণে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন গত অর্থ বছরে ৩ বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স পাঠানোয় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বুলবুল আহমেদ মুকুল। সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বৃহত্তর ফরিদপুরের সার্বিক উন্নয়ন, আগামীর সম্ভাবনা ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রবাসীদের ভাবনাও তুলে ধরেন।