করোনায় সৃষ্ট মন্দা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা শুরু করেছে সৌদি আরবের কার্গো ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সময় মতো বাংলাদেশে পণ্য পাঠাতে পারছে না তারা। এতে গ্রাহকদের সঙ্গে তিক্ততা বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। সাধারণ প্রবাসীদের অভিযোগ, সৌদিতে পণ্য বুকিং দিয়ে, দীর্ঘদিন অপেক্ষা করলেও স্বজনরা তা পাচ্ছেন না।
ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি জানান, ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে বুকিং দেয়া মাল পৌঁছোনোর কথা। কিন্তু তিন চার মাস পার হয়ে গেছে। কবে পাবে; এ বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
তবে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত মার্চ থেকে তারা কোনো শিপমেন্টের ডেলিভারি দিতে পারেননি। এতে প্রবাসীদের ব্যক্তিগত ব্যবহার ও পরিবারের জন্য পাঠানো মালামাল জমেছে কয়েকশ’ টন।
এক ব্যবসায়ী জানান, বাংলাদেশ সরকার যদি বিষয়টি বিশেষ বিবেচনা করে, তাহলে চলমান সংকট থেকে আমরা রক্ষা পাই। এতে গ্রাহকরা যেমন স্বস্তি পাবেন। যারা পাঠাবেন তারাও নিশ্চিত থাকতে পারবেন। শিপমেন্ট বন্ধ থাকায় যারা বুকিং দিচ্ছেন তাদের সঙ্গে প্রায় ঝামেলা হচ্ছে।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ভারত-পাকিস্তনসহ বিভিন্ন দেশে কার্গো ফ্লাইট চালু আছে। তাদের মালামাল আমরা পৌঁছে দিতে পারছি। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের কার্গো ফ্লাইট এখনো চালু হয়নি। এতে করে আমাদের ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
সমস্যা সমাধানের জন্য অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে চিঠি দিয়েছেন রিয়াদের কার্গো ব্যবসায়ীরা। সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে বাংলাদেশে সেবা চালুর আহ্বান তাদের।
রিয়াদ প্রবাসী কার্গো এসোসিয়েশন সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন, শতাধিক কার্গো ব্যবসায়ী রয়েছি আমরা। তাদের সঙ্গে ৫ জন করে লোক থাকলেও ৫০০ লোক। এখন যদি বিষয়টি সুরাহা করা না হয় তাহলে সবাই বেকার হয়ে পরবে। আশা করি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমাদের একটা সমাধান দেবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কার্গো খাত থেকে প্রতিবছর সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব অর্জন করে। কিন্তু এখন সেই সেবা বন্ধ থাকায় জাতীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
উৎসঃ সময় নিউজ