কোভিড-১৯ মহামারী কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। মৃত্যুর মিছিলে রোজ যোগ হচ্ছেন হাজারও মানুষ। আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে পৌনে ৬ লাখের বেশি মানুষ। এই তথ্য ওয়ার্ল্ডওমিটারসের।
বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক এই ওয়েবসাইটের মঙ্গলবার দুপুর ১২টার তথ্যে বলা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার ৯৯০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৪৯ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৫ জন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন ৫৮ হাজার ৮৮১ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৭ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৭৭ লাখ ৭ হাজার ৩৮৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দুনিয়াব্যাপী মারা গেছেন প্রায় ৪ হাজার মানুষ। একই সময়ে নতুন করে প্রায় দুই লাখ মানুষের শরীরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটিতে মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ৩৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি, যা বিশ্বের মোট আক্রান্তের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। তবে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে এই সংখ্যা একটু কম, ৩৩ লাখ ১ হাজার ৮২০ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮২ জন। জনস হপকিনস বলছে, মৃত্যু ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭১ জন।
লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশ ব্রাজিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ৯৫৯ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ভারতে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬৪৫ জন (তৃতীয়), রাশিয়ায় ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৯ জন (চতুর্থ) এবং পেরুতে ৩ লাখ ৩০ হাজার ১২৩ জনের (পঞ্চম) শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
শীর্ষ দশে থাকা অন্য দেশগুলো হলো– চিলি (৩ লাখ ১৭ হাজার ৬৫৭ জন), মেক্সিকো (৩ লাখ ৪ হাজার ৪৩৫ জন), স্পেন (৩ লাখ ৩ হাজার ৩৩ জন), যুক্তরাজ্য (২ লাখ ৯০ হাজার ১৩৩ জন) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (২ লাখ ৮৭ হাজার ৭৯৬ জন)।
মৃতের হিসেবেও শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রাজিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭২ হাজার ৯২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাজ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ হাজার ৮৩০ জন, মেক্সিকোতে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৪৯১ জন এবং ইতালিতে পঞ্চম সর্বোচ্চ ৩৪ হাজার ৯৬৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
এ হিসেবে শীর্ষ দশে রয়েছে– ফ্রান্স (মৃত্যু ৩০ হাজার ২৯ জন), স্পেন (মৃত্যু ২৮ হাজার ৪০৬ জন), ভারত (মৃত্যু ২৩ হাজার ৭২৭ জন), ইরান (মৃত্যু ১৩ হাজার ৩২ জন) ও পেরু (মৃত্যু ১২ হাজার ৫৪ জন)।
এ ছাড়া রাশিয়ায় ১১ হাজার ৪৩৯ জন, বেলজিয়ামে ৯ হাজার ৭৮২ জন, জার্মানিতে ৯ হাজার ১৩৯ জন, কানাডায় ৮ হাজার ৭৯০ জন, চিলিতে ৭ হাজার ২৪ জন, নেদারল্যান্ডসে ৬ হাজার ১৩৭ জন, সুইডেনে ৫ হাজার ৫৩৬ জন, কলম্বিয়ায় ৫ হাজার ৪৫৫ জন, তুরস্কে ৫ হাজার ৩৮২ জন, পাকিস্তানে ৫ হাজার ২৬৬ জন, ইকুয়েডরে ৫ হাজার ৬৩ জন, চীনে ৪ হাজার ৬৩৪ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪ হাজার ১৭২ জন, মিসরে ৩ হাজার ৯৩৫ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৩ হাজার ৬৫৬ জন, ইরাকে ৩ হাজার ২৫০ জন, বাংলাদেশে ২ হাজার ৩৯১ জন ও সৌদি আরবে ২ হাজার ২৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।