ভারতের তামিলনাড়ুর একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এর কারণ, রাজ্য যখন করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউনে তখন স্পাইসজেটের একটি বিমান ভাড়া করেন সংশ্লিষ্টরা।
এতে উঠে যান বর, কনে, উভয় পক্ষের আত্মীয়স্বজন, অতিথি। তারপর মধ্যাকাশে বিমানের ভিতর অনুষ্ঠিত হয় বিয়ে। এর মধ্য দিয়ে করোনার নিরাপত্তা বিষয়ক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। জবাবে স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের বার বার আইন মানার কথা বলা হলেও তারা তা শোনেননি। যদি এ কথা সত্য হয়, তাহলে বর, কনে এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
বার্তা সংস্থা এএনআই’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়েছে, ঘটনাটি তামিলনাড়– রাজ্যের মাদুরাই এলাকার। ওই এলাকার বর, কনের বিয়ের জন্য বোয়িং ৭৩৭ বিমান ভাড়া করা হয়। এতে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনেকে মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন বর। তাদের পিছনে এ সময় অনেক মানুষের জটলা। একটি ছবি তোলার সময় ফটোগ্রাফার বর-কনেকে হাসতে উৎসাহিত করেন। কনেকে ফুল, স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে সাজানো হয়। আর বর ছিলেন দক্ষিণ ভারতীয় প্রচলিত পোশাকে। ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানের ভিতরে আরো অনেক মানুষ। তারা কেউ বসে আছেন। কেউ আনন্দ উল্লাস করছেন। তবে বেশির ভাগের এ সময় মুখে কোনো মাস্ক ছিল না। এমনকি সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখেন নি। পুরো ফ্লাইটে মানুষ ছিলেন গাদাগাদি করে। এ অভিযোগে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন তদন্ত শুরু করেছেন। বিমান সংস্থা ও এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। করোনা বিষয়ক আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে যারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলা হয়েছে স্পাইসজেটকে। তবে বিমানের ভিতর বিয়ের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মাদুরাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পরিচালক এস সেন্থিল ভালাবান বলেছেন, স্পাইটজেটের বিমান মাদুরাই থেকে ভাড়া করা হয়েছে একদিন আগে। মধ্যাকাশে বিয়ের অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মকর্তা অবহিত নন। অন্যদিকে স্পাইসজেট বলেছে, গত ২৩ শে মে একটি ট্রাভেল এজেন্ট ওই বিমানটি ভাড়া করে। তারা জানায়, বিয়ে পরবর্তী আনন্দ করার জন্য তারা বিমান ভাড়া নিচ্ছে।
তবে তাদেরকে করোনা বিষয়ক গাইডলাইন অনুসরণ করতে অনুরোধ বলা হয়। বিমানের ভিতরে কোনো অনুষ্ঠান করতে তাদেরকে বারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে এজেন্ট ও ওই যাত্রীদের বিস্তারিত বলা হয়েছে। তাদেরকে লিখিতভাবে এবং মৌখিকভাবে সবকিছু জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে এবং সব নিয়ম মানতে। বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও যাত্রীরা সেই নির্দেশনা মানেননি।