আব্দুল্লাহ আল শাহীন, ইউএইঃ অদৃশ্য জীবাণু করোনাভাইরাসের প্রভাবে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে আটকা পড়েছেন হাজারো আমিরাত প্রবাসী। অন্যদিকে করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে দেশে যেতে অপেক্ষামান অসংখ্য বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
মাস তিনেক থেকে বাংলাদেশের সাথে আকাশপথের স্বাভাবিক ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। বিশেষ ফ্লাইটে কিছু সংখ্যক লোক দুবাই থেকে ঢাকা যাচ্ছেন, এবং ঢাকা থেকে দুবাই আসছেন। আমিরাত সরকারের অনুমতি যারা পেয়েছেন তারাই মূলত এখন আসতে পারছে।
বিশেষ ফ্লাইটে করে ভিজিট ভিসায় এসে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা চড়া দামে টিকিট ক্রয় করে দেশে ফেরত যাচ্ছেন। এসব বিশেষ ফ্লাইটের মাত্রাতিরিক্ত টিকিটের মূল্য নিয়েও প্রবাসীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। করোনাকালীন বিপর্যয়ে বিমান ভাড়ার ভারে নাজেহাল প্রবাসীরা। স্বাভাবিক ফ্লাইট চালু হলে টিকিটের মাত্রাতিরিক্ত দাম কমবে বলে প্রবাসীরা মনে করছেন।
গত ৬ জুলাই থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী ১৩ জুলাই থেকে আমিরাত রুটে বিমান ফের পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু এসব ফ্লাইটের ভাড়া স্পেশাল ফ্লাইটের মতো। শুধু মাত্র দুবাই থেকে যাওয়ার ভাড়াই ২ হাজার দিরহামের (৪৩ হাজার টাকা) অধিক। হাজার দিরহামের ভেতনের সাধারণ শ্রমিক কিভাবে শুধু মাত্র যাওয়ার ভাড়া ২ হাজার দিরহাম বহন করবে? তাছাড়া বর্তমান এই বৈশ্বিক মহামারীর দুঃসময়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অসংখ্য প্রবাসী।
চট্টগ্রাম জেলার মোহাম্মদ আইয়ুব আলী কোম্পানি থেকে ক্যান্সেল হয়েছেন প্রায় এক মাস পূর্বে। টিকিটের চড়া দামের কারণে দেশে যেতে পারছেন না আবার কর্মহীন অবস্থায় এখানে থাকাটাও অসম্ভব। এমতাবস্থায় তিনি দেশ থেকে টাকা এনে ২২০০ দিরহাম (প্রায় ৪৮ হাজার টাকা) দিয়ে টিকিট কেটে বিশেষ ফ্লাইটে দেশে যান। একই ভাবে ফেনির রুবেল মিয়া ২ হাজার দিরহাম দিয়ে টিকিট কেটে ছুটিতে দেশে যান। রুবেলের কোম্পানিতে বর্তমানে কাজ নেই তাই ছুটি দিয়েছে। এভাবে অসংখ্য প্রবাসী টিকিটের মাত্রাতিরিক্ত ভাড়ার কারণে নাজেহাল।
করোনায় সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত প্রবাসী ও প্রবাসীর পরিবার। প্রবাসীদের এই দুঃসময়ে বাংলাদেশ সরকার প্রবাসীদের পাশে দাঁড়াবে এটাই প্রত্যাশা। বিমান ভাড়ায় ভর্তুকি দিয়ে হলেও স্থিতিশীল করার দাবি লাখো প্রবাসীর।