বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলন করতে ঐক্যমত হয়েছে এলডিপি-বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের বাসায় এলডিপির সঙ্গে সংলাপে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এক ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার সংলাপে বিএনপির পক্ষে অংশ নেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এলডিপির ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল আলম, নেয়ামূল বসির, আওরঙ্গজেব বেলাল, সাকলাইন খান ও সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।
সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের একটি পার্লামেন্ট গঠন করার ব্যাপারে আমরা আন্দোলন করতে একমত হয়েছি। আশা করি, সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পরে যুগপৎভাবে এই আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।’
এলডিপি সভাপতি অলি আহমদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। দেশের জনগণ এক অস্বস্তিকর পরিবেশে বাস করছে, কারো জীবনের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই, মৌলিক অধিকার নেই, ন্যায়বিচার নেই। একটা মগের মুল্লুকে আমরা বসবাস করছি। এরকম অবস্থা দেশের মানুষের জন্য কাম্য নয়। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, এই ধরনের লুটপাট-অর্থপাচারের জন্য এদেশ স্বাধীন করি নাই। আমরা চাই, এই অবস্থার অবসান হোক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এই সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হবো।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে অনতিবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিও জানান অলি আহমদ।
গত ২৪ মে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপি সংলাপ শুরু করে। প্রথম দফায় মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলন, সাইফুল হকের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপ করে দলটি। এ ছাড়া ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ন্যাপ-ভাসানী ও মুসলিম লীগের সঙ্গেও সংলাপ শেষ করেছে বিএনপি।