এ বছর বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার ৩৫ বছর পূর্তি উদযাপন করছে এমিরেটস এয়ারলাইন। ১৯৮৬ সালের ২৭ অক্টোবর ফ্লাইট শুরু করার পর ঢাকা থেকে দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৪ লক্ষ যাত্রী পরিবহন করেছে আন্তর্জাতিক এই বিমান সংস্থাটি। এ সময় পরিচালিত হয়েছে ১৯,৩০০ এর অধিক রাউন্ড-ট্রিপ ফ্লাইট। বর্তমানে এমিরেটস সুপরিসর বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজের সাহায্যে ঢাকা থেকে দৈনিক ৩টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
দিনটি উদযাপন উপলক্ষে এমিরেটস বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে যার মধ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কেককাটা, এমিরেটসের একটি ফ্লাইটকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুট প্রদান, ঢাকায় পরিচালিত সকল ফ্লাইটে যাত্রীদের এ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুইজ প্রতিযোগিতা (https://bangladeshmonitor.com.bd/emirates-quiz) এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশস্থ এমিরেটস কান্ট্রি ম্যানেজারের মত বিনিময়।
এ উপলক্ষ্যে নিজস্ব অনুভূতি ব্যাক্ত করে বাংলাদেশে এমিরেটসের কান্ট্রি ম্যানেজার মোহামেদ আলহাম্মাদী বলেন, বাংলাদেশে এমিরেটসের ৩৫ বছর পূর্তিতে আমরা বিশেষভাবে আনন্দিত। আমাদের জন্য এটি একটি অবিস্মরণীয় পথযাত্রা। এ উপলক্ষ্যে আমি আমাদের সকল সহকর্মী, গ্রাহক এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে তাদের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ এই সম্পর্ককে আমরা ভবিষ্যতে এগিয়ে নিতে এবং আরো সুসংহত করতে আগ্রহী। দুবাই বা ভায়া দুবাই অন্য যেকোন গন্তব্যে গ্রাহকদের আরো নিরাপদ ও উত্তম সেবা প্রদানে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বর্তমানে এমিরেটসই একমাত্র আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন যারা ঢাকা থেকে প্রথম শ্রেনী সেবা প্রদান করছে। প্রথম শ্রেনীর সর্বোৎকৃষ্ট প্রডাক্ট এবং আরামপ্রদতা মাটিতে এবং আকাশে যাত্রীদের অনন্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে আসছে। ঢাকা থেকে যাত্রীরা বর্তমানে ভায়া দুবাই এমিরেটস নেটওয়ার্কভূক্ত ১২০টির অধিক গন্তব্যে স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারছেন।
এমিরেটসের কার্গো পরিবহন শাখা- এমিরেটস স্কাইকার্গো ২০১৬ সাল থেকে গত ৫ বছরে ১৭০,০০০ টনের অধিক মালামাল বাংলাদেশে বা বাংলাদেশে থেকে পরিবহন করেছে। এসব মালামালের মধ্যে রয়েছে মূলত তৈরী পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পন্য এবং পচনশীল রপ্তানী পন্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং পর্যটন উন্নতিতে এমিরেটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
এমিরেটস ও ফ্লাই দুবাইয়ের যৌথ লয়্যালটি প্রোগ্রাম- এমিরেটস স্কাইওয়ার্ডসে বাংলাদেশী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৯০,০০০। এসব সদস্যরা প্রোগ্রামে অন্তর্ভূক্ত বিভিন্ন সুবিধা যেমন- ফ্লাইট টিকেট, আপগ্রেড, হোটেল রুমসহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করে থাকেন।
অতিমারীকালে প্রোগ্রামের শর্তাবলী অনেকাংশে শিথিল করা হয়েছে যাতে সদস্যরা কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হন। এ ছাড়াও ১ আগস্ট ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ ২০২২ এর মধ্যে এমিরেটস বা ফ্লাই দুবাইয়ের টিকেট ক্রয় করলে দুবাইয়ে অবস্থানকালে প্রতিমিনিটের জন্য ১ মাইল (পয়েন্ট) এবং সর্বোচ্চ ৫,০০০ মাইল অর্জন করতে পারবেন।
এমিরেটসের দুবাই বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন গন্তব্য এবং অন্যতম প্রথম নগরী হিসেবে অতিমারীকালে ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম কাউন্সিল কর্তৃক সেইফ ট্রাভেলস স্বীকৃতি লাভ করতে সক্ষম হয়।
অতিমারীকালে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে এমিরেটস বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভ্রমণে যাত্রীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে মাল্টিরিস্ক ভ্রমণবীমা। বুকিং এবং রি-বুকিং নীতিও অনেক নমনীয় করা হয়েছে। বিশ্বমানের পন্য ও সেবার সাথে সাথে যাত্রীদের প্রদান করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের খাবার এবং বিনোদনের জন্য রয়েছে ৪,৫০০ এর অধিক চ্যানেল বিশিষ্ট বিনোদন ব্যাবস্থা- আইস এমিরেটসের বিনোদন ব্যবস্থায় বাংলাদেশী যাত্রীদের জন্য দেশীয় বিভিন্ন জনপ্রিয় ছায়াছবি দেখারও সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে।
ছবির ক্যাপশন: বাংলাদেশে এমিরেটসের কার্যক্রমের ৩৫ বছর পূর্ণ হলো আজ । এ উপলক্ষে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে এমিরেটসের একটি সুপরিসর বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজকে জলকামান অভিবাদনের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। ১৯৮৬ সালে উদ্বোধনী ফ্লাইট পরিচালনার পর এয়ারলাইনটি অদ্যাবধি দুবাই এবং ভায়া দুবাই ১ কোটি ৪ লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহণ করেছে,পরিচালিত রাউন্ডট্রিপ ফ্লাইটের সংখ্যা সর্বমোট ১৯,৩০০ এরও বেশী। ভবিষ্যতেও দেশটিতে আমাদের অনন্য সেবা অব্যাহত থাকবে এবং এমিরেটসে ভ্রমনকারী যাত্রীদের আরও উন্নত ও নিরাপদ সেবা প্রদান করার আশা রাখি।