আদালত সূত্রে জানা যায়, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ তাদের বক্তব্য প্রদান করে এবং আসামিরা নিজেরাই আত্মপক্ষ সমর্থন করেন।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিলেট আদালতের আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এটি একটি জঘন্যতম কর্মকাণ্ড যা সমাজের মানুষকে নাড়া দিয়েছে এবং সমাজের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আর তাই ব্যক্তিগত নৈতিক অবস্থান থেকেই কোনো আইনজীবী আসামিপক্ষে দাঁড়াননি এবং তাদের জামিনে কেউ আবেদন করেননি।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এটিএম ফয়েজ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আইনজীবীদের এ সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত। ঘৃণা প্রকাশের জন্যেই স্বপ্রণোদিত হয়েই কোনো আইনজীবী আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করতে যাননি।’
এখন পর্যন্ত সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতি আনুষ্ঠানিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আইনি সুবিধা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, তাই আইনজীবী সমিতি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পক্ষে না থাকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
‘তবে, সমিতি চাইলে কেবলমাত্র বাদীপক্ষে থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী থাকতে পারেন না। এক্ষেত্রে আসামিপক্ষ অন্য জেলার আইনজীবী আনতে পারেন। তবে, সেখানেও আইনজীবী সমিতির আনুষ্ঠানিক অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে’, যোগ করেন তিনি।