দুই বছর আগে গাড়ি চালিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যার পরও শাস্তি হয়নি নোয়াখালীর-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে শাবাব চৌধুরী। এবার চট্টগ্রামে পুলিশের গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে আরো একবার আলোচনায় আসলেন তিনি। কিন্তু বারবার এ ধরণের ঘটনায় এমন অপরাধী শাস্তি না পাওয়ায় ক্ষুণ্ণ হচ্ছে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি।
ঘটনা পরিক্রমায় জানা যায়, শনিবার রাতে খুলশী থানার এক উপ-পরিদর্শকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মতিঝর্ণা এলাকায় স্থানীয়দের দুই পক্ষের সংঘর্ষের একটি ঘটনা তদন্ত করতে যাওয়ার পথে লালখান বাজারে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয় বিপরীত দিক থেকে আসা শাবাব চৌধুরীর গাড়ি। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন শাবাব। পরবর্তীতে গাড়ি সহ তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্যের সন্তান হয়ে বারবার এ ধরণের ঘটনায় জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে ইত্তেফাক থেকে ফোন করে শাবাবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘প্রথমজন তো মারা গেছে, এবারেরটা পুলিশের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি।’
কিন্তু এই ভুল বোঝাবুঝির পর সাধারণ নিয়ম অনুসারে এবারো আটক না হয়ে মুচলেকা দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন এমপি পুত্র।
খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী এক সংবাদ মাধ্যমে বলেন, সংসদ সদস্যের ছেলে শাবাব চৌধুরী নিজেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। পুলিশের গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগে। এ সময় শাবাব গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলেও নিশ্চিত করে পুলিশ।
এর আগে ২০১৮ সালের জুন মাসেও একবার ঢাকার মহাখালীতে সেলিম ব্যাপারী নামের এক চালককে গাড়ি চাপা দেন শাবাব। আজ ইত্তেফাকের সঙ্গে মুঠোফোনের কথায় বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি এবং এই ঘটনায় ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে সরাসরি নিজের সম্পৃক্ততার কথাও বলেন। কিন্তু সে ঘটনায় এই হতভাগ্য ড্রাইভারের পরিবার ন্যায় বিচার পায়নি। বরং এককালীন ২০ লাখ এবং মাসিক ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়। কিন্তু এ ধরণের ঘটনায় যথাযোগ্য বিচার না হওয়ায় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের।
উল্লেখ্য একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালীর-৪ আসনের সংসদ সদস্য হলেও চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার এলাকায় তার পরিবারের বাড়ি রয়েছে।
উৎসঃ ইত্তেফাক