ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরিমনির বিরুদ্ধে মামলা করার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। তিনি পরীমনির মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন।
বুধবার নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, মিথ্যা অপবাদ, সম্মানহানি করা, পারিবারিকভাবে অপদস্থ করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে যে কোনো সময় তিনি রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন।
নাসির বলেন, আমি মামলা করার জন্য প্রস্তুত। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলা দায়ের করব। আমার বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে তার সবই মিথ্যা। আমাকে পারিবারিকভাবে হয়রানি করা হয়েছে, সমাজে অপদস্থ করা হয়েছে। মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের কারণে আমার দীর্ঘদিনের অর্জিত মান-সম্মান সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে।
এর আগে বুধবার বিকালে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আটক দেখানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন মধ্যরাতে সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ঘটনার চার দিন পর ১৩ জুন রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এবং রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা প্রকাশ করেন নায়িকা পরীমনি।
পর দিন ১৪ জুন সকালে ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন তিনি। ওই দিন বিকালে উত্তরা থেকে নাসির ও অমিসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। এর পর ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
ওই মামলায় গত ১৫ জুন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি নাসির ও অমির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ওই মামলায় রিমান্ড শেষে পরীমনির মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাদের।
২৯ জুন পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় প্রধান আসামি নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি জামিন পান। পরে ৩০ জুন দিবাগত রাত ৮টার দিকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নাসির মুক্তি পান।
কারামুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাসির উদ্দিন। সত্যিকারে অন্যায় করলে আফসোস ছিল না- এমন আক্ষেপ করে এই ব্যবসায়ী বলেন, বড় রকমের ভিকটিম হলাম। কোনো দিন হাজত দেখিনি। রিমান্ডে ১২ দিনসহ ১৮ দিন জেলহাজতে কাটিয়েছি। আমাকে আটক করার পরও কেউ আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি। একজন সেলিব্রিটির (পরীমনি) অভিনয়ে আমি সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলাম।