
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এক নারীর সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের আপত্তিকর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এনিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে সমালোচনা ও বির্তকের ঝড় উঠেছে। যদিও রফিক উদ্দিন ঠাকুরের দাবি, এই ভিডিও সর্ম্পকে তিনি কিছুই জানেন না।
তিনি বলেন, আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অন্য কারোর ভিডিওতে এডিটিংয়ের মাধ্যমে আমার চেহারা জুড়ে দিয়ে এই ভিডিওটি বানানো হয়েছে। তবে এখনো ভিডিওতে দেখতে পাওয়া নারীর পরিচয় পাওয়া য়ায়নি।
এ ব্যাপারে জড়িত ফেসবুক অ্যাক্টিভিস্টদের নামে মামলা করবেন বলে জানান উপজেলা চেয়ারম্যান।
সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর এক নারীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত রয়েছেন। চেয়ারম্যানের এই কর্মকাণ্ডে বিব্রত স্থানীয়রা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই।
জানা যায়, রফিক উদ্দিন ঠাকুর তার নানান কর্মকাণ্ডে সরাইলে বেশ বির্তকিত। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মৃত ইকবাল আজাদ হত্যা মামলার আসামি হওয়ার দায়ে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। এছাড়া নারীঘটিত একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আগেও ছিল।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, সামনে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আমার জনপ্রিয়তাই একটি মহলের কাছে ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনায় তিনি তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।