কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরে বজরা ইউনিয়নে সরকারি ত্রাণের চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দকৃত ত্রানের চাল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিতরন না করে বিধি বর্হিভূত ভাবে নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মজুদ করে তা বিতরনের নামে নয় ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যরা প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম আমিন বাবলু প্রতিনিয়ত বিধি বর্হিভূতভাবে ভিজিএফ কার্ড বিতরনসহ অন্যান্য সরকারি মালামাল উত্তোলন ও বিতরন করে আসছেন। এছাড়া আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বরাদ্দকৃত ৬ হাজার ৮শ ৫৬টি কার্ডের বিপরীতে চেয়ারম্যান খেয়াল খুশিমত ইউপি সদস্যদের মধ্যে ১৫০ থেকে ২৫০টি করে কার্ড বন্ঠন করে অবশিষ্ট কার্ডের তালিকা নিজের আত্বিয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের নামে এমনকি ভুয়া নাম দিয়ে তালিকা প্রণয়ন করে উক্ত তালিকার বরাদ্দকৃত মালামাল আত্মসাতের পায়তারা করছেন। ইউপি কার্যালয় ভবনে সরকারি খাদ্য গুদাম থাকা স্বত্বেও চেয়ারম্যান উদ্দেশ্যমূলকভাবে করোনা মহাদূর্যোগসহ বিভিন্ন সময়ের ত্রানের চাল তার পরিচালিত বজরা এল কে আমিন ডিগ্রী কলেজের একটি শ্রেণি কক্ষে রেখে তা বিতরন করে আসছেন। এছাড়া ইউপি সদস্যদের মতামত না নিয়ে পরিষদের বিভিন্ন কাজ তিনি একাই করেন। এ ঘটনায় বজরা ইউনিয়ন পরিষদের ৬জন সদস্য প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। বজরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক অভিযোগ করে বলেন, গত ঈদুল ফিতরের আগের রাতে ইউনিয়নের পরিষদের কার্যালয়ের পাশে এক গ্রাম পুলিশের বাড়ি থেকে সরকারি ত্রানের বরাদ্দ ১ হাজার ৬৫ কেজি চাল জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশ বিপুল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর থেকে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি খাদ্য গুদামে ওই ইউনিয়নের বরাদ্দকৃত ত্রানের চাল না রেখে নিজের প্রভাবিত এলাকা বজরা এল কে আমিন ডিগ্রী কলেজের শ্রেণি কক্ষে রেখে সরকারি চাল বিতরনের নামে নয় ছয় করে আসছেন। সরকারি গুদাম থাকার পরও অন্যত্র ত্রানের চাল তুলে তা বিতরন করা বিধি বর্হিভূত।
এ প্রসঙ্গে বজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম আমিন বাবলু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোন গুদাম নেই। পূর্বে ইউপি কার্যালয় থেকে ত্রানের চাল বিতরন করা হলেও এখন তা করা হচ্ছে না কেনো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকার বন্যাকবলীত মানুষজন পরিষদে আশ্রয় নিয়েছে। এ কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ত্রানের চাল বিতরন করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।